সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বৃষ্টির দেখা না মিললেও উপকূল সংলগ্ন এলাকার বাতাসে জলীয় বাষ্পের হার বেশি থাকায় ঘেমেনেয়ে একসা হতে হয়েছে আম জনতাকে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে চলছে তাপপ্রবাহ। রবিবার অনেক জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বা তার আশপাশে পৌঁছে যায়। পানাগড়ে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.১ ডিগ্রি, যা রাজ্যে সর্বাধিক। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৯ ডিগ্রি ছোঁয়। কলকাতায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪.৭ ডিগ্রি বেশি ছিল (৩৯.২ ডিগ্রি)। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বর্ষা না ঢুকলে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তীব্র গরম থাকে। কলকাতায় সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৪৩.৯ ডিগ্রি) রেকর্ড হয়েছিল ১৯২৪ সালের পয়লা জুন।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধাক্কায় কেরল ও উত্তর-পূর্ব ভারতে নির্ধারিত সময়ের আগে (৩০ মে) মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। একই কারণে ৩১ মে উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ অংশে স্বাভাবিক সময়ের ৬ দিন আগে বর্ষা ঢুকে যায়। কিন্তু তারপর আর মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতি হয়নি। মৌসুমি অক্ষরেখা থমকে আছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের উপর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর মৌসুমি অক্ষরেখা অবশ্য কিছুটা এগিয়েছে। এই সময় বঙ্গোপসাগরের ওই অংশে কোনও নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে বর্ষা হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়বে দক্ষিণবঙ্গে। এখনও সেরকম পরিস্থিতির ইঙ্গিত নেই। তবে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। কিন্তু সেটা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের কারণে কি না, তা অনিশ্চিত।