সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
লোকসভা ভোটে এবার ২৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল গোড়া থেকেই প্রচার করেছিলেন, বিভেদের রাজনীতি করে ভোটের ফসল ঘরে তুলতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বাংলার মাটিতে এই উদ্দেশ্য যে সফল হবে না, তাও স্পষ্ট করেছিলেন তাঁরা। ভোটদান পর্ব শেষ হওয়ার পর ‘বুথ ফেরত সমীক্ষা’য় তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা এবার যেভাবে তলানিতে নামিয়ে এনেছিল, তাতে আশঙ্কা ছিল, ধর্মীয় বিভেদের চেষ্টাই হয়তো জিতবে এবার। কিন্তু ভোটের ফল বাস্তবে হয়েছে ঠিক তার উল্টো।
বণিক মহলকে শুভেচ্ছা বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘এই বিপুল জনাদেশ আসলে বাংলার জয়। বিভাজনের চেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের একতা, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতি অটুট দায়বদ্ধতাই এই জয় এনে দিয়েছে। যে বিভেদকামী শক্তি বাংলার অগ্রগতিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছে জনগণ। ফলে ভোটের এই রায় শুধু যে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য, তা নয়, এই জনমত অশুভ শক্তির বিপক্ষে শুভ শক্তির জয়’। শিল্প মহলকে মমতার বার্তা, ‘আমাদের সরকারকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই এবং বাংলাকে নিয়ে যেতে চাই আরও উঁচুতে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনে বাংলাই ভারতকে নেতৃত্ব দেবে।’
মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায় বলেন, ‘এরাজ্যে সরকার বিরোধী হাওয়া যে কাজ করেনি, তার প্রমাণ তৃণমূলের এই জয়। আমাদের সভাপতি নমিত বাজোরিয়া মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছাবার্তায় জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী এবং কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পগুলি যেভাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে, তারই ফল এতগুলি আসন। পরিকাঠামো, শিল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মান উন্নত হয়েছে এখানে। এটা অস্বীকার করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রীও আগামী দিনে একসঙ্গে পথ চলার কথা জানিয়েছেন আমাদের। আশা করা যায়, রাজ্যের লগ্নির বহর আরও বাড়বে।’