সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম শুনতেই বাড়ির মালিকদের চোখে-মুখে কেমন যেন উদ্বেগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড়িওয়ালা ভাড়া দেওয়ার চুক্তিপত্র দেখিয়ে বললেন, ‘অয়ন, অভিষেক, ইমন, ইমনের বাবা সকলেই বাড়িতে এসেছিলেন। চুক্তিপত্রে সই করে গিয়েছিলেন। ১০ হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর আর তাঁদের দেখিনি।’ একটা সময় পর্যন্ত ভাড়ার টাকা চলে আসত। রহস্য এখানেই শেষ নয়। ইমন নামের এই রহস্যময়ীর সঙ্গে অভিষেকের ‘দ্য ফসিলস’ নামের কোম্পানি সফটওয়্যার বিষয়ক বলে দাবি করা হয়েছে ওই চুক্তিপত্রে। এই কোম্পানির মাধ্যমেও কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সাদা করা হয়েছে? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। দক্ষিণ কলকাতার ওই বাড়ির মালিক আরও বলেন, ‘মাস খানেক বাদে অয়নবাবু ফোন করে বললেন, আমরা পেট্রল পাম্প শুরু করেছি। এর কাগজপত্র আপনার ঠিকানায় আসবে। ব্যাঙ্কর কাগজপত্র এল। কিন্তু ওঁরা কেউই আসেন না। আমিই একদিন ফোন করে বললাম। তখন তপন বলে একজন এলেন। তাঁর ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ।’ হঠাত্ই ওই বাড়িওয়ালার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন অয়নরা। বাড়িওয়ালার দাবি, অয়ন ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁদের নম্বর ব্লক করে দেয়। অগত্যা ২০২০ সালের শেষের দিকে অন্য লোককে ভাড়া দিয়ে দেন তাঁরা। এই অভিষেক ও ইমনের নামে ১ কোটিরও বেশি টাকার জমি কেনার নথিও ইডির হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর। এই নথি নিয়েও খোঁজখবর শুরু হয়েছে।
এদিকে, তপনদা নামে এক ব্যক্তির নাম অয়নের এজেন্ট হিসেবে ইডির ‘পঞ্চনামা’তেও উঠে এসেছে। তপন মানে কি তপন পুরকাইত? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এই তপন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির জন্য ১৫ জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন। গোটা লেনদেন হয়েছিল নগদে। এরকমই ৪৩ জনের নাম এনেছিলেন এজেন্ট ‘এমডি’। ৬৮ জনের তালিকা এনেছিলেন ‘লাল’ এবং ৯৬ জনের নাম এনেছিলেন ‘কানুদা’। লাল কি ভাঙড়ের হীরালাল বিশ্বাস? কানুদা কি ঘোলার কানাইলাল দে? এই প্রশ্নগুলোরই উত্তর খুঁজছে ইডি।