সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
এনটিসিএ’র এই নির্দেশিকা বলবৎ হচ্ছে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। এনটিসিএ’র এই নির্দেশিকা পাওয়ার পর মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলন করে তা জানিয়ে দেয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। তবে জঙ্গলের অভ্যন্তরে বনপথে বনবস্তিবাসীদের দৈনন্দিন যাতায়াতে কোনও বাধা থাকবে না। অর্থাৎ বনবস্তিবাসীরা মঙ্গলবারসহ সপ্তাহের সবদিনেই বনপথ ধরে যাতায়াত করতে পারবেন।
১৯৮৩ সালে ব্যাঘ্র প্রকল্পের মর্যাদা পায় ৭৬০ বর্গ কিমি আয়তনের বক্সার জঙ্গল। প্রশ্ন উঠেছে, দেশের অন্যান্য ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে যখন সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ ছিল, তখন বক্সায় কেন এতদিন এই নিয়ম কার্যকর হয়নি? এ বিষয়ে অবশ্য বনদপ্তর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, সপ্তাহের একদিন বন্যপ্রাণীরা যাতে মানুষের কোলাহল থেকে নিজেদের মতো করে কাটাতে পারে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এনটিসিএ’র নির্দেশিকা বক্সাতেও আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আগামী মাস থেকে বক্সার জঙ্গলও প্রতি মঙ্গলবার বন্ধ থাকছে। ক্ষেত্র অধিকর্তা আরও বলেন, জঙ্গলের অভ্যন্তরে রাস্তাঘাটে বনবস্তিবাসীদের যাতায়াত, ওয়াচ টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য কাজ বাকি দিনগুলির মতোই চালু থাকবে।
তবে এনটিসিএ’র এই নির্দেশিকা নিয়ে বক্সার পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যেও দ্বিমত আছে। একাংশ পর্যটন ব্যবসায়ীর বক্তব্য, দেশের অন্যান্য ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল যখন প্রতি মঙ্গলবার বন্ধ থাকে তখন বক্সার জঙ্গলও একদিন বন্ধ থাকলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আবার অন্য অংশের মতে, এতে পর্যটন ব্যবসায় প্রভাব পড়বে। জয়ন্তীর এক রিসর্ট মালিক পার্থসারথি রায় বলেন, আমরা চাই কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক।
এনটিসিএ’র এই নির্দেশিকা পেয়ে রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বক্সা ও সুন্দরবনের জঙ্গল প্রতি মঙ্গলবার বন্ধের কথা দ্রুত ঘোষণাসহ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।