সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
বঞ্চনার পাশাপাশি ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়েও ধর্নামঞ্চে সরব হবেন মমতা। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে। বিজেপি নেতাদের কথায় চলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মনে হচ্ছে, ইডি-সিবিআইয়ের অধিকর্তা যেন বিজেপির লোকাল লিডার। আইওয়াশ করতে বাংলায় কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশ এভাবে চলতে পারে না।’ ধারাবাহিক কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, রাস্তা নির্মাণ সহ বিভিন্ন খাতে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আমরা পাই। কেন্দ্রীয় বাজেটেও বাংলাকে এক পয়সা দেওয়া হয়নি। গরিব মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেছেন, কিন্তু টাকা পাননি। সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। আবাসেও এক টাকা দেয়নি। ৫৫ লক্ষ বাড়ির টাকা পড়ে আছে। তাই বাংলার প্রতি বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসতে হচ্ছে। রান্নার গ্যাসের দাম ১১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধেও আমার প্রতিবাদ।’ সূত্রের খবর, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ আরও বকেয়া রয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এই অবস্থায় দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দু’দিন ধর্নায় বসবেন। এই খবরে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল যখন জোটবদ্ধ হতে চাইছে, সেই সময় মমতার এমন কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার তৎকালীন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছিলেন মমতা।