সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
এর আগে আনিস খান হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গল্ফগ্রিনে পুলিস হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বছর দু’য়েক আগে বেহালার সরশুনায় এক ব্যক্তি নিখোঁজের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজকর্ম। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থার এজলাসে সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে আমতার যুবক আনিস খান হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গ। মামলাকারী কাঞ্চন শর্মার অভিযোগ, ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ির পাশে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী রাজকুমার শর্মা। সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও দু’জন পুলিস কনস্টেবল তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে রাজকুমারে কোনও খোঁজ মেলেনি। ঘটনার দিনই সরশুনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কলকাতা পুলিসের বিভিন্ন স্তরে দরবার করেও স্বামীর হদিশ পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত সিজেএমের কাছে মামলা দায়ের হলে তদন্তে নামে সরশুনা থানা। তারপরও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ মামলা দায়ের করেন কাঞ্চনদেবী। নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ।
এই ঘটনায় সরশুনা থানার দুই অফিসার জড়িত থাকায় পুলিসই তদন্ত ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ ওঠে। কাঞ্চনদেবী তখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ঘটনার দিন কোন কোন পুলিস অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি মান্থা। পুলিস সেই রিপোর্টে জানায়, ওই দিন টহলদারি দলে নবকুমার প্রামাণিক নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারও ছিলেন। এই তথ্য সামনে আসতেই আনিস খান কাণ্ডের উদাহরণ টেনে সওয়াল করতে শুরু করেন মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও সন্দীপন দাস। তাঁরা বলেন, এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করার একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। ফলস্বরূপ ঘটে যাচ্ছে আনিস খান মৃত্যুর মতো একাধিক ঘটনা। এরপরই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিষয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর নির্দেশ, সিভিকদের কোনওভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে লাগানো যাবে না। তাদের কাজের এক্তিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরি করে রাজ্যের সমস্ত পুলিস কমিশনার ও এসপিদের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।