সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
অয়নের বাড়ি থেকে টেট ও নবম দশম শ্রেণী ছাড়াও বিভিন্ন পুরসভার পরীক্ষার ওএমআর শিট মিলেছে। যা ছাপাইয়ের বরাত পেয়েছিল এই প্রোমোটারের সংস্থা। ইডি জেনেছে, এজেন্টদের পাঠানো তালিকা আসার পর তাঁদের ফর্ম রেডি করতেন নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম এই চাঁই। কোনও প্রার্থীকেই ডেকে এনে ফর্ম ফিল আপ করানো হতো না। সব কাজটাই করে দিত অয়নের কোম্পানি। কারও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট নিয়ে কোনও সমস্যা হলে, তারও সমাধান ছিল। চাহিদা মতো মিলত অষ্টম, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতকের ভিন রাজ্যের সার্টিফিকেট। এরজন্য আলাদা টাকা নেওয়া হতো সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর কাছ থেকে।
ইডির তদন্তকারীরা জেনেছেন, পরীক্ষা শেষে ছাত্রছাত্রীর ফাঁকা ওএমআর শিট জমা করতেন। সেগুলি অয়নের বাড়িতে চলে আসত। ওএমআর শিট ফিলআপ করার জন্য জনা দশেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী ছিল। তারা প্রশিক্ষিত। প্রাথীদের শিট ম্যানিপুলেট করে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলত অয়নের নির্দেশে। এরপর এই শিটগুলি ফিরে যেত পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছে। তদন্তে উঠে এসেছে, কামারহাটি, বরানগর, খড়দহ, ভাটপাড়া, হালিশহর সহ বিভিন্ন পুরসভার একাধিক প্রার্থী শুধু ফর্ম ফিলআপ করেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের হয়ে প্রভাবশালীদের সুপারিশ গিয়েছে নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে। জানা গিয়েছে, এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনজন প্রভাবশালীর সঙ্গে অয়নের একাধিকবার চ্যাট হয়েছে। তার নথিও ইডির হাতে এসেছে।
মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে তোলা হয়। সেই সঙ্গে জেল বন্দি তাঁর স্ত্রী ও ছেলের শুনানিও ছিল। মানিকবাবুর আইনজীবী বিচারককে বলেন, তাঁর মক্কেল কিছু বলতে চান। বিচারক বলেন, শুনেছি উনি ল’ কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। কোর্টের নিয়ম ওঁনার জানা উচিত। মানিকবাবু সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ তুলতেই বিচারক বলেন, আমি কি আপনাকে বলার অনুমতি দিয়েছি? বিচারক মানিকের আইনজীবীকে বলেন, আপনার ল’ কলেজের প্রিন্সিপালকে বলে দিন, আর্টিক্যাল ২১’র জন্য হাইকোর্টে যেতে। আদালতের নির্দেশে ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র ও ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন,উনি একজন রাজনৈতি দলের নেতা। দল তাঁকে বহিষ্কার করেনি। মানিকের দাদা হীরালাল ভট্টাচার্যের অনেক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি বলেছেন আমার দুর্ভাগ্য, আমি মানিকবাবুর দাদা!