সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত তৃণমূল যুবনেতার ফোন থেকে প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডের ছবি মিলেছে। সেই প্রার্থীদের সিংহভাগই স্কুলে চাকরি করছেন। চমকে দেওয়ার মতো তথ্য হল, শুধু হুগলি জেলাতেই ধৃতের পঞ্চাশেরও বেশি এজেন্ট ছিল। এছাড়া বধর্মান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় তাঁর লোক ‘কাজ’ করত। তদন্তে ইডি আরও জেনেছে, শান্তনুর নির্দেশমতো এজেন্টরা তাদের নাম ও ফোন নম্বর তালিকার উপরে লিখে দিত। সেগুলি পিডিএফ ফর্মাট করে পার্থবাবুর মোবাইলে পাঠিয়ে দিতেন শান্তনু। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ধৃত যুবনেতা সহ একাধিক প্রভাবশালীর শতাধিক মেসেজ আদানপ্রদানের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁর পাঠানো তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রভাবশালীর সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত কথোপকথনের স্ক্রিন শট শিক্ষামন্ত্রীর মোবাইলে পাঠিয়ে দিতেন শান্তনু। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁর পাঠানো প্রার্থীদের ওএমআর শিটের ছবি এসএসসি অফিস থেকে চলে আসত যুবনেতার মোবাইলে। তারপর কারচুপি করে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হতো। এ সংক্রান্ত নথিও শান্তনুর মোবাইল থেকে মিলেছে বলে দাবি ইডির। অফিসাররা জেনেছেন, প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসার প্রমাণ দিতে শান্তনু একাধিক কৌশল নিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে চ্যাটে কথাবার্তার স্ক্রিন শট রেখে দিতেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হোমরাচোমরা ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এসে তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলতেন শান্তনু। সেই ছবি হাতিয়ার করে শান্তনু একজন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ চাকরি বিক্রেতা হয়ে উঠেছিলেন, দাবি ইডির।