যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
এদিকে এদিন বিকেলেই হাইকোর্টের নির্দেশের কপি সিবিআইয়ের কাছে পৌঁছ যায়। তৎক্ষণাৎ তৎপরতা শুরু করে তদন্তকারী সংস্থা। মানিক ভট্টাচার্যর ইমেলে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়। ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়াও সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পারেন মানিক ভট্টাচার্য আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের দিল্লি অফিসেও বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু মানিক ভট্টাচার্যর তরফে কোনও উত্তর মেলেনি বলে জানায় সিবিআই।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এর আগে পর্ষদ জানায়, সমস্ত ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। স্থান সঙ্কুলান ও সংরক্ষণের ঝামেলার কারণেই সমস্ত নথি নষ্ট করা হয়েছিল বলেও জানায় পর্ষদ। কিন্তু এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, কার নির্দেশে কীভাবে ওই নথি নষ্ট করা হয়েছে? এই প্রশ্নরে উত্তর খুঁজতেই সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। তদন্ত করে আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আর সেই সূত্রেই পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বিচারপতি জানিয়ে দেন, মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা না করলে, সিবিআই চাইলে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে। জানা গিয়েছে, ২১০৪ সালের টেটে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২৩ লক্ষ। যারমধ্যে ২০ লক্ষের কিছু বেশি সংখ্যক প্রার্থী টেটে অংশ নিয়েছিলেন। যারমধ্যে প্রায় ১৩ লক্ষ ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পর্ষদ গঠিত অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্তেই একটি সংস্থাকে দিয়ে ওএমআর শিটগুলি নষ্ট করা হয়েছে। ওই কাজে কোনও রকম টেন্ডার ডাকা হয়নি বলেও অভিযোগ। সেসময় ওই অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পর্ষদ জানিয়েছে, ওএমআর শিটগুলি ডিজিটালি সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু আদালত মনে করছে, ডিজিটালি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কারচুপি করা সম্ভব। তাই ওই নথিগুলি নষ্টে মানিকের কী ভূমিকা ছিল, তা যাচাই করতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, ‘ওএমআর শিট নষ্টের বিষয়টি একটি কনফিডেনশিয়াল প্রসেস। এর জন্য টেন্ডার ডাকার প্রয়োজন হয় না।’ এদিকে, আজ বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মানিক ভট্টাচার্যর দায়ের করা মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চে। আপাতত সেদিকেই সবপক্ষের নজর।