যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
লালবাজার সূত্রের খবর, ২৫ সেপ্টেম্বর সাগর দাস নামে এক ব্যক্তি তারাতলা থানায় এনিয়ে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘টোটাল ফান বাংলা’, ‘রিয়া প্রিয়া’, ‘সাগরিকা বর্মন ভ্লগস’, ‘লাইফ ইন দুর্গাপুর’, ‘ফ্রেন্ডস ক্যাম্পাস’ সহ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে চালানো হচ্ছে। তারাতলা থানায় সেই সমস্ত ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেন যুবক। তিনি পুলিসকে জানান, এই বক্তব্য বিকৃতির জেরে মুখ্যমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। পাশাপাশি, এই সমস্ত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকলে দাঙ্গা বেধে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযোগকারীর দাবি, অভিযুক্তরা পয়সা রোজগারের উদ্দেশ্যে ইউটিউবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত নামে পুলিস। তাতে যুক্ত হয় গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখা। আধিকারিকরা নদীয়ার তাহেরপুরে অভিযান চালান। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তুহিন মণ্ডলকে। পুলিসের বক্তব্য, ভিডিও বিকৃত করার ঘটনায় এই যুবক প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ধৃতের মোবাইল ফোন ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের অনুমান, সেটা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ‘এডিট’ করা হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, তুহিন হাওড়ায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। মাঝেমধ্যে তাহেরপুর গ্রামের বাড়িতে যান। ব্যাঙ্কে চাকরি পাওয়ার আগে তিনি একটি সাইবার ক্যাফে খুলেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তুহিন কম্পিউটার ও প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে প্রচারিত বিকৃত ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিলিট করারও উদ্যোগ নিয়েছে পুলিস। ধৃতের বিরুদ্ধে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা, অন্যের সম্মানহানি, অবমাননাকর মন্তব্য প্রচার, ষড়যন্ত্র সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।