যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
সারদা কাণ্ডের পর এমপিএস গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। জানা যায়, সারদা, রোজ ভ্যালির কায়দায় বাজার থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলেছে এই ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থাও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই সারদা, রোজ ভ্যালির সঙ্গে এমপিএস নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ২০১৫ সালে এই সংস্থার কর্ণধার প্রমথনাথ মান্নাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তারপর তদন্তের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। আদালত চিটফান্ড মামলা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে আরও সক্রিয় হতে বলায় এমপিএস নিয়ে তদন্তে গতি আসে। আমানতকারীদের টাকা কীভাবে বাজারে ঢুকেছে, তা জানতে নথিপত্র খতিয়ে দেখা শুরু হয়। দেখা যায়, একাধিক সংস্থার সঙ্গে ভুয়ো লেনদেন দেখিয়ে টাকা পাচার করা হয়েছে। সমস্ত ব্যালেন্স শিট পরীক্ষা করতে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেন, কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সবক’টি কোম্পানির বার্ষিক টার্ন ওভার বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এই কোম্পানিগুলি আবার বাইরের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে টাকা লেনদেন করেছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, এমপিএসের ব্যালেন্স শিট পরীক্ষা করে একটি চার্টার্ড ফার্মের নাম পাওয়া যায়। তাদের অফিস মধ্য কলকাতার গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে। এখানকারই এক সিএর সই রয়েছে সমস্ত নথিতে। এরপরই মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তিনটি টিম অভিযানে নামে। একটি দল যায় ফার্মের অফিসে। অন্য দু’টি দল ওই সিএর বাড়ি এবং অন্য একটি বাড়িতে হানা দেয়। চাটার্ড ফার্মের অফিস থেকে ২০১৪ সালের আগে তৈরি করা নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সিএ-কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন অন্য আধিকারিকরা। ভুয়ো লেনদেন দেখেও তিনি কীভাবে আয়-ব্যয়ের নথিতে সই করলেন, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ওই সিএ দাবি করেন, তাঁকে এমপিএস যা কাগজপত্র দিত, তার ভিত্তিতেই নথি প্রস্তুত করেছেন তিনি। সেটি যে চিটফান্ড কোম্পানি, তা তিনি জানতেন না। যদিও তাঁর এই যুক্তি মানতে নারাজ সিবিআই। তাদের প্রশ্ন, ‘অস্বাভাবিক’ লেনদেন দেখেও তা কেন তদন্তকারী সংস্থার নজরে আনা হয়নি? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে ওই সিএ-কে নোটিস পাঠিয়ে ডাকা হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।