সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
দৃশ্য-২: শিমূলতলা-জেমস লং সরণি ক্রসিং। ফুটপাতে ছায়ায় দাঁড়িয়ে পুলিস সার্জেন্ট ও তাঁর সঙ্গী সিভিক পুলিস। তাঁদের থোরাই কেয়ার। চলছে দেদার স্টপ লাইন লঙ্ঘন, সিগন্যাল ভাঙা।
দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ডায়মন্ডহারবার রোড। তা নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক কলকাতা পুলিস। তবে তার সমান্তরাল রাস্তা জেমস লং সরণিতে ট্রাফিক বিধি ততটাই শিথিল। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মুখ খুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁদের কথায়, এখানে পুলিসের সামনেই চলে বিধি ভাঙার খেলা। সব দেখেও নিশ্চুপ কেন ট্রাফিক পুলিস? প্রশ্ন তুলছে আম জনতাই।
বেহালা ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে রায় বাহাদুর রোড এসে যুক্ত হয়েছে জেমস লং সরণিতে। সেখান থেকে ওই রাস্তাই সরাসরি চলে যাচ্ছে বুড়োশিবতলা। ১৪ নম্বর ও জেমস লং সরণি ক্রসিংয়ে মোতায়েন থাকে পুলিস। এই এলাকা জেমস লং ট্রাফিক গার্ড এলাকার অন্তর্ভুক্ত। ক্রসিংয়ে পুলিস থাকায় বুড়োশিবতলা থেকে হেলমেটহীন বাইক, স্কুটার চালকরা এই পথ ধরেন না। ১১ পল্লির সামনে থেকে শর্টকাট রাস্তা ধরে জেমস লং সরণি ধরছেন তাঁরা। এরপর চৌরাস্তার দিকে তেমন কোনও পুলিসি প্রহরা নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা গেল, শিমূলতলা-জেমস লং সরণিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট ও হোমড়া-চোমড়া এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁদের সামনেই পরপর গাড়ি, বাইকগুলি সবই স্টপলাইন পার করে প্রায় ১০ ফুট এগিয়ে এসেছে। উল্টোদিকে সিগন্যাল খোলা থাকায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখলেই সক্রিয় হয় পুলিস। এগিয়ে এসে স্টপলাইন লঙ্ঘনকারীদের ‘সাইটেশন’ কেস দেওয়ার জন্য ছবি তুলতে শুরু করে পুলিস। সেই দৃশ্য দেখে এক বাইকচালক বিপজ্জনকভাবে সিগন্যাল ভেঙে পালিয়ে গেলেন। উল্টোদিক থেকে আসা একটি ট্যাক্সি ব্রেক কষে কোনওমতে বাঁচান ওই বাইক চালককে। পুলিসের সামনেই ড্রাইভারের বদান্যতায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান ওই বাইকচালক।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন কয়েকজন বাইকচালক। তাঁদের কথায়, ‘প্রেসের ক্যামেরা দেখেই সক্রিয় হয়েছে পুলিস। তা নাহলে তো এই রাস্তায় পুলিসি নজরদারি বিশেষ থাকে না।’ তাঁদের এই বক্তব্য থেকেই অন্যান্য দিনের জেমস লং সরণির চিত্রটা স্পষ্ট। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, জেমস লং সরণিতে সব সময় পুলিস মোতায়েন থাকার কথা। কিন্তু, তাঁদের সামনে কীভাবে ট্রাফিক বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।