সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু)। তার পর থেকেই বিধানসভা এলাকার সংগঠন নিয়ে বিশেষ নজর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে নয়া কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয় হাবড়া বিধানসভাকে কেন্দ্রে করে। রয়েছে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটিও। কিন্তু তাতে সংগঠনের তেমন উন্নতি হয়নি বলে দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উঠে এসেছে। আর সেই তথ্য গিয়েছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে। কয়েক মাস আগে দেগঙ্গার চাকলায় এসে হাবড়া বিধানসভা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে মমতা একটি নির্দেশিকা দেন। কিন্তু সেই নির্দেশিকা কার্যকর হয়নি বলেও অভিযোগ। তাই দলের সংগঠন যে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে সেই তথ্য গিয়েছে কালীঘাটে। সেই সুযোগে বিরোধীদলগুলি হাবড়া বিধানসভা এলাকায় তাঁদের ঘুটি সাজাচ্ছে বলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা। যার জেরে সংগঠন নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রয়েছেন মমতা। জ্যোতিপ্রিয়র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বালু নেই বলে এখন শুনছি সিপিএম মিটিং মিছিল করছে। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছে ওরা। এদিনের প্রস্তুতি সভা থেকে বিজেপিকেও একহাত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর দাবি, আইন আইনের পথে চলবে। কেউ দোষ না করলে তাকে আদালতে মুক্তি দেবে। কিন্তু তৃণমূলকে সব সময় চোর বলে বিজেপি। কেন্দ্র এই রাজ্যে ৩৫০টি টিম পাঠিয়েছে, কিন্তু তৃণমূলকে চোর প্রমাণ করতে পারেনি।
মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী জানতে চান, হাবড়ার সংগঠন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী কেন দেখছেন না? তিনি বলেন, আমি চাকলায় বৈঠকে বলেছিলাম নারায়ণকে হাবড়া দেখার দায়িত্ব দিতে। কিন্তু কেন তা হয়নি? এরপর তাঁর স্পষ্ট বার্তা, হাবড়া থেকে খারাপ ফল বরদাস্ত হবে না। হলে নেতৃত্বদের কপালে দুঃখ রয়েছে বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। এ প্রসঙ্গে এক নেতা বলেন, ক’দিন পরেই ভোট। তার আগে হঠাৎ দায়িত্ব দিয়ে কীভাবে হাবড়া সামাল দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা সংবাদমাধ্যমে বলা যাবে না। আমাদের প্রত্যেককেই উনি দায়িত্ব দিয়েছেন হাবড়া নিয়ে বাড়তি নজর দিতে। সেই মতো কাজ আমরা সকলে মিলেই শুরু করব।