বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই বছর আগে অশোকনগরের বালিশা এলাকার বাসিন্দা ফরিদা বিবির সঙ্গে হাবড়ার আটুলিয়া গ্রামের যুবক আলি হোসেন মণ্ডলের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। তাঁদের আট মাসের এক শিশু সন্তানও রয়েছে। আলি হোসেন পেশায় সেলাই কারখানার কর্মী। বিয়ের পর তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল। কিন্তু, স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হবার পর সম্পর্কে জটিলতা শুরু হয়। প্রায় বছরখানেক আগে থেকে সে দক্ষিণেশ্বর এলাকার এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ফরিদা বিবির উপর সে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা শুরু করে বলে অভিযোগ। স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য সে ক্রমাগত চাপ ও হুমকি দিত বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগে ওই প্রেমিকাকে নিয়ে সে বাড়ি ছাড়াও হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের মধ্যে তীব্র অশান্তি শুরু হয়।
ফরিদা বিবির বাপের বাড়ির লোকেরা এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় একাধিকবার সালিশি সভা বসিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। তাতেও খুব একটা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি শেষ চেষ্টা হিসেবে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গ্রাম্য মোড়লদের নিয়ে আলোচনা সভা হয়। ওই সভার পর কিছুদিন সে চুপচাপ ছিল। এরপর রবিবার রাতে আচমকাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে সে ঘুমন্ত স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপে আর্ত চিৎকার শুরু করেন ওই গৃহবধূ। পাশের প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে দৌড়ে এলে অভিযুক্ত আলি ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা গুরুতর জখম ওই গৃহবধূকে প্রথমে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জখম গৃহবধূর বড় জা শিল্পী খাতুন বলেন, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আমি ও আমার স্বামী বাইরে বের হয়ে দেখি দেওর ঘরের বাইরে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমার স্বামী তাঁকে ঘরের ভিতরে যেতে বলে। এরপর আমরা ঘরের মধ্যে মোবাইলে একটা সিনেমা দেখছিলাম। সেই সময় ওদের ঘর থেকে আর্তনাদ শুনে আমরা ছুটে যাই। জানালা দিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতনভাবে ফরিদা মেঝেতে পড়ে রয়েছে। দেওরের হাতে কাটারি। আমাদের দেখেই ও ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সকলে মিলে ফরিদাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওদের বিয়ের পর এই ধরনের অশান্তি ছিল না। দেওর যবে থেকে আর এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে, তবে থেকেই সমস্যা হচ্ছে। বার বার সালিশি সভা করেও কোনও লাভ হয়নি।