বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
তবে দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে একাধিক মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে। বিশেষ করে ওই গৃহবধূর দাবি, বাড়ির প্রায় সমস্ত জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তাঁর উপরে নজরদারি করা হতো। এমনকী বিশেষ ধরনের ওষুধ খাইয়ে তাঁকে অসুস্থ করে দেওয়ার চক্রান্তও হয়েছিল। বাদলবাবুর পাল্টা দাবি, পুত্রবধূ সংসার ভাঙার চক্রান্ত করেছিল। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিবেশী থেকে জনপ্রতিনিধিরা। মণিদীপা বলেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আমার বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকে আমাকে নানান অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। গোটা বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে নজরদারির জন্যে। এই মানসিকতার প্রতিবাদ করায় আমাকে অসুস্থ করে দেওয়া হয়। তারপরে আমি বাবার বাড়ি গিয়ে হাসপাতালে ভরতি হই। এরপর আর আমাকে ও আমার স্বামীকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়েই ধর্নাতে বসতে হয়েছে। প্রতিবেশীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা সমস্যাটা বুঝেছেন। বাদলবাবু বলেন, বউমা সংসার ভাঙতে চাইছিল। সেই কারণে শ্রীরামপুর আদালতে মামলা করি। আদালতই ছেলে ও বউমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে নিষেধ করেছে। বৈদ্যবাটি পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলার শিপ্রা দত্ত বলেন, খুবই অনভিপ্রেত ঘটনা। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই গৃহবধূ বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপরই মণিদীপা শ্বশুরবাড়ির সামনে বসে পড়েন। এর মধ্যে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চলে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে প্রতিবেশীরা এক সময় এগিয়ে এলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। শেওড়াফুলি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু গৃহবধূর শ্বশুরকে খুঁজে পাওয়া নিয়ে একপ্রস্থ নাটক হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে পাওয়া গেলে নাটকীয়ভাবে তিনি আদালতের নির্দেশনামা বের করেন। সে নিয়েও একপ্রস্থ চাপানউতোরের পর প্রতিবেশীদের চাপে ওই গৃহবধূকে বাড়িতে ফেরান শ্বশুর। তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা চলাকালীন গৃহবধূর স্বামীকে কোথাও দেখা যায়নি।