সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
ক্লে-কোর্টের অবিসংবাদি সম্রাট রাফায়েল নাদাল। এবার তিনি প্রথম রাউন্ডে জেরেভের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে তাঁরই দেশের তরুণ তুর্কি মধুর প্রতিশোধ নিলেন চতুর্থ বাছাই জার্মান তারকাকে হারিয়ে। অনেকেই আলকারাজকে টেনিসের নতুন পোস্টার বয় হিসেবে দেখছেন। তার মর্যাদাও দিয়ে চলেছেন স্প্যানিশ তরুণ। তবে ২০২৩ সালে উইম্বলডন জেতার পর থেকে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তাঁর। চোট সমস্যায় জর্জরিত হয়ে মন্টে কার্লো, রোম ও বার্সেলোনা ওপেন থেকে নাম তুলে নিতে বাধ্য হন। ফরাসি ওপেনে নামার আগে ক্লে-কোর্টে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন আলকারাজ। তবে সেটা ফরাসি ওপেনে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে বোঝার উপায় ছিল না। অবশ্য ফাইনালে তাঁকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিলেন জেরেভ। ৬-৩ ব্যবধানে প্রথম সেট জিতে ম্যাচে লিড নেন আলকারাজ। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন জেরেভের। ৬-২ ব্যবধানে জিতে সমতায় ফেরেন তিনি। এরপরহ তৃতীয় সেটে একটা সময় ২-৫ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েননি জার্মান খেলোয়াড়টি। ৭-৫ ব্যবধানে সেট দখল করে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু পরের দুই সেটে সেরাটা মেলে ধরে বাজিমাত করেন আলকারাজ। চতুর্থ সেট ৬-১ ব্যবধানে জিতে খেলায় সমতা ফেরান তিনি। পঞ্চম তথা নির্ণায়ক সেট হয়ে দাঁড়ায় স্নায়ুর লড়াই। প্রতিভার ঝলকে ৬-২ ব্যবধানে জিতে শেষ হাসি হাসেন আলকারজই। তাঁর ড্রপ শট ও ব্যাক হ্যান্ড রিটার্নের জবাব ছিল না জেরেভের সামনে। চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট আসতেই কোর্টে শুয়ে পড়ে সেলিব্রেশনে মাতেন তিনি। তারপর প্রতিপক্ষের সঙ্গে করমর্দন সেরে ছুটে যান গ্যালারিতে। পরিবারের সদস্য ও কোচকে জড়িয়ে আবেগে ভাসেন আলকারাজ।
এদিকে, রবিবার মহিলাদের ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হলেন কোকো গফ ও কাতেরিনা সিনিয়াকোভা। ফাইনালে এই জুটি ৭-৬ (৭-৫), ৬-৩ স্ট্রেট সেটে হারিয়েছেন ইতালির সারা ইরানি ও জেসমিন পাওলিনিকে। উল্লেখ্য, শনিবার মহিলাদের সিঙ্গলসেও ইগা সুইয়াটেকের কাছে ফাইনালে হেরেছিলেন পাওলিনি। এবার ডাবলসেও খেতাব অধরা থাকল তাঁর। অন্যদিকে, কোকো গফ কেরিয়ারে প্রথমবার ডাবলসে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন।