সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, বাসস্ট্যাণ্ড চত্বরটি এডিডিএর অধীনে। তারাই সামগ্রিক উন্নয়ন করে থাকে। এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিটিসেন্টার বাসস্ট্যাণ্ডটি আমরা এসবিএসটিসিকে হস্তান্তর করে দিয়েছি। তাঁরা নানা পরিকাঠামোগত কাজ করছে। তারাই সমস্যাগুলির সমাধান করবে। আর এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, বাসস্ট্যাণ্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। তাই প্রাথমিক ভাবে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। আমরা আধুনিক বাসস্ট্যাণ্ড হিসেবে গড়ে তুলব।
বুধবার ছিল জামাইষষ্ঠী। বাসে মেয়ে-জামাইয়ের ভিড় একটু বেশিই ছিল। কেউ জামাইষষ্ঠী সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। কেউ আবার দুপুর পর্যন্ত অফিস সামলে বিকেলে ছুটি কাটাতে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন। এমন বিশেষ দিনে জামাইদের নাকানি চোবানি খাওয়ালো সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড। সন্ধ্যা নামতেই প্রবল বৃষ্টি। হাতে গোনা যাত্রী শেডে তিল ধারণের জায়গা নেই। গাদাগাদি করে মাথা গুজলেন যাত্রীরা। তার মধ্যেই লাইন দিয়ে আসছে বাস। বাস থেকে নামলেই নোংরা ভর্তি হাটু সমান জল। বৃষ্টি থেমে গেলেও জল নামল না বাসস্ট্যান্ড থেকে। সেই জল বুকিং অফিসেও ঢুকে পড়ল। এক রাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় যাত্রীরা।
তাঁদের অভিযোগ, সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ড চত্বর প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ব্যবহার করেন। অথচ, সেই জায়গাটি সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। এই জায়গাকে কেন্দ্র করে সবাই ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু যাত্রী পরিষেবা উন্নয়নে নজর নেই। এই চত্বরে পাশেই এডিডিএ পার্কিং জোন করেছে। টেন্ডার করে যা থেকে টাকা পায় তারা। ব্যবসা করার জন্য তারা একাধিক স্টল করে দিয়েছে। কিন্তু যাত্রী সেড করতে উদ্যোগ নেই। সিটি সেন্টার চত্বরে একটি আধুনিক যাত্রী শেড নেই। এটা আমাদের লজ্জার। বললেন নিত্যযাত্রী অভিষেক পাল, বিমান মণ্ডলরা। বাসস্ট্যান্ড হাতে পেয়েই রেস্তোঁরা গড়তে উদ্যোগী এসবিএসটিসি। তাঁরা ইতিমধ্যেই একটি দোতলা রেস্তোঁরা বেসরকারি সংস্থাকে চালাতে দিয়েছে। আরও একাধিক ফুড স্টল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।