সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামপুর থানা এলাকার স্বপন মাইতি কলকাতায় একটি সোনার দোকানে কাজ করত। এপ্রিল মাসে নাবালিকার ছবি দেখে তার হৃদয়ে প্রেমের দোলা লাগে। ইনস্টাগ্রামে ছবি দেখার পর ওই নাবালিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্বপন। এরপর ঠিকানা জোগাড় করে এক বন্ধুকে নিয়ে সোজা ভূপতিনগরে পৌঁছে যায়। সেখানে একান্তে ছাত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর তাকে একটি মোবাইল উপহার দেয়। বাড়ির লোকজনকে লুকিয়ে সেই ফোন থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে নাবালিকা যোগাযোগ করত। এভাবেই উভয়ের প্রেম জমে ওঠে। কিন্তু বিষয়টি বেশিদিন আড়ালে রাখতে পারেনি নাবালিকা। মোবাইলটি পরিবারের লোকজনের নজরে আসতেই শুরু হয় তার উৎস সন্ধান। কীভাবে হাতে এল মোবাইল, তা নিয়ে চাপ বাড়ান বাড়ির লোকজন। তা নিয়ে অশান্তিও হয়। এই পরিস্থিতিতে গত ২৮মে ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
মেয়েকে না পেয়ে বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু সন্ধান না পেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিস মোবাইল ফোনের সূত্রধরে শ্যামপুর থানার এলাকার স্বপনের খোঁজ পায়। মোবাইল ট্র্যাক করে বৃহস্পতিবার শ্যামপুর থেকে দু’জনকে ধরে থানায় আনা হয়। এদিন সকালে ওই নাবালিকার বাড়ির লোকজনও থানায় হাজির হন। নিয়ম অনুযায়ী, পুলিস ওই নাবালিকার বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য কোর্টে পাঠায়। পাশাপাশি নাবালিকা ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ধৃত ওই যুবককে কোর্টে তোলা হয়। অভিযুক্ত স্বপন আপাতত জেলে। আর নাবালিকার ঠাঁই হয়েছে হোমে।
ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক বলেন, ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেছিল ওই নাবালিকা। বাবার মোবাইল নিয়ে সেই ছবি পোস্ট করার পর ধৃত যুবক সেটি দেখে প্রেমে পড়ে যায়। তারপর ওই নাবালিকা নিয়ে চলে যায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে।