সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এদিন সেলিমকে প্রশ্ন করা হয় যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিএম তথা জোট বারবার দুর্নীতির ইস্যু তুললেও মানুষ তৃণমূলকে বিপুল ভোটে জেতাল। জবাবে সেলিম বলেন, ভোট পেলেই অসৎ লোক সৎ হয়ে যায় না। চোর সাধু হয়ে যায় না। কিংবা দুর্নীতিগ্রস্ত পুণ্যবান হয়ে যায় না। এটা বুঝে নিতে হবে, ভোট পড়েছে মানে দুর্নীতি নস্যাৎ হল না। এই ফলাফলের অনেক কারণ কাছে। কী কী কারণ, সেটা তিনি বুঝিয়েও বলেন। সেলিম বলেন, বেলডাঙায় রামনবমীতে দাঙ্গা করা হল। তৃণমূলের এমএলএ হিন্দু বিরোধী কথা বলল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মহারাজ সব টেনে নিয়ে এলেন। রুটিরুজি, গণতন্ত্র, শ্রমিক, বেকারত্ব এসব ইস্যু মানুষের মন থেকে সরিয়ে দিয়ে ভোট হয়ে গেল হিন্দু ও মুসলমানের। এমন একটা আবহাওয়া তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে, ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে মানুষের আচরণ স্বাভাবিক হয় না।
ইলেকশন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেলিম বলেন, ইলেকশন কমিশন থাকতেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারে একচেটিয়া ভোট চুরি করল। বিজেপি অভিষেককে বিজেপি হিসেবে দেখছে।
এদিন নিজের হার নিয়েও মুখ খোলেন বর্ষীয়ান এই সিপিএম নেতা। সেলিম আরও বলেন, গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং ফলাফল নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব। বামফ্রন্ট ও বামফ্রন্টের সহযোগী দল, এমনকী যাঁরা রাজনীতি করেন না তবু নির্বাচনে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের মতামতও শুনব। আলোচনা, সমালোচনা এবং পরামর্শ নেব। এই আলোচনা বা পর্যালোচনা থেকে যে সমস্ত তথ্য আসবে সেগুলি নিয়ে আগামী দিনে রাজনৈতিক সংগ্রামের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, আমি যেহেতু মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলাম। জয়ী না হলেও, নির্বাচনে লড়েছি। বিশাল অংশের মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। অনেকে আশা করেছিলেন, জয় হবে। জয় হয়নি। কিন্তু লড়াইটা ভালোই হয়েছে। এতে আশাহত হওয়ার কথা নয়। আমরা মানুষের কাছে যে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে গিয়েছিলাম এবং যে সমস্যার সম্মুখীন মানুষ হয়েছে, সেগুলি নিয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। আমাদের দুর্বলতা যেগুলি ছিল, সেগুলি আমরা কাটাব। যাঁরা আমাদের সমর্থন করেনি, তাঁরা যাতে আগামীতে সমর্থন করেন সেজন্য চেষ্টা চালাব। মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার চলবে।
এদিন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে তিনি মুখ খুলে সেলিম বলেন, আমরা শান্তিতে নির্বাচন চেয়েছিলাম। শান্তির জন্য আবেদন করেছিলাম। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন। তারপর নানা ঘটনা ঘটছে। জয় মানুষকে মহান হওয়ার সুযোগ দেয়। এরপর যদি তৃণমূল সন্ত্রাস করে বা হানাহানি করে, তাহলে মানুষ বুঝবে যে, রায়দান ঠিক হয়নি।