সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি নেতাজি বাস টার্মিনাসে রয়েছে ওই রেলওয়ে যাত্রী সংরক্ষণ কেন্দ্র। নিয়ম করে প্রতিদিন সকাল আটটার সময় খোলা হয় ও বন্ধ করা হয় বেলা ২টো নাগাদ। ২০০৭ সালে কান্দি পুরসভা পরিচালিত ওই টার্মিনাসে সংরক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছিল। যদিও যাত্রীদের অভিযোগ, তৈরির পর থেকেই এখানে অনিয়মিত পরিষেবা পাওয়া যায়। প্রথম দিকে কিছুটা ঠিকঠাক থাকলেও দু’বছর গড়াতে না গড়াতে প্রায়দিন এখানে সংরক্ষিত টিকিট পাওয়া যায় না। প্রায় প্রতিদিনই লিঙ্ক নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আবার মাঝে মধ্যে কাউন্টারে দালালরাজও চলে।
বৃহস্পতিবার সেখানে বড়ঞা থেকে সংরক্ষিত টিকিট কাটতে এসেছিলেন হামজার আলি। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে এসেছিলাম টিকিটের জন্য। ওইদিন আজকে আসার জন্য বলা হয়েছিল। আজও ফিরে যেতে হচ্ছে। কবে টিকিট মিলবে, তাও পরিষ্কার করে জানানো হচ্ছে না। এমন অভিযোগ এদিন কাউন্টারে আসা অনেকের। তবে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন সুজিতবাবু। তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এখানে ইন্টারনেট সমস্যার কারণে লিঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে না। বলা হচ্ছে পুরনো সিস্টেম রয়েছে এখানে। এর আপগ্রেডেশন প্রয়োজন। তার জন্য দপ্তরে জানানো হয়েছে। তবে কবে সেটা ঠিক হবে, তা বলা যাচ্ছে না। এখানে আমার কিছু করার নেই।
বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজে যান। সেক্ষেত্রে রেল যোগাযোগের উপর ভরসা করতে হয় তাঁদের। কান্দির সংরক্ষণ কেন্দ্র চালু থাকলে তাঁদের হয়রানি পোহাতে হয় না। কিন্তু এটি বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তির শেষ নেই। কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, মানুষের সুবিখার জন্য এই সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রেলের কোনও হেলদোল নেই। সংরক্ষিত টিকিট কাটতে মানুষকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সালার কিংবা খাগড়াঘাট স্টেশনে যেতে হয়। রেলকে সমস্যা নিয়ে চিঠি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, ওই রেলওয়ে সংরক্ষণ কেন্দ্রের জন্য কান্দি পুরসভা বিনামূল্যে ঘর থেকে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, বসার জায়গা সবই দিয়েছে। এর আগে বহুবার সমস্যা নিয়ে রেল দপ্তরকে পুরসভার পক্ষ থেকে চিঠি করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও ফের চিঠি করা হয়েছিল। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর পর্যন্ত দেয়নি।