জ্ঞাতি ও বন্ধুদের মধ্যে শত্রুবৃদ্ধি ও উদ্বেগ। গুণীব্যক্তি বা উচ্চ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি। আয় ... বিশদ
পূর্বস্থলী-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে এসমস্ত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আগামী দিনে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। আরও উন্নয়ন হবে।
এই বিধানসভা আসনের কালনা-১ ব্লকের ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতে পড়ে কালীনগর ও উদয়গঞ্জ। পূর্বস্থলী-১ ব্লকের নসরৎপুর পঞ্চায়েতে পড়ে মনমোহনপুর ও কিশোরীগঞ্জ। এই চারটি গ্রামই কালনার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। ভাগীরথী নদীর ওপারে এসমস্ত গ্রাম অবস্থিত। এখানকার মানুষকে চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা ও অন্য প্রয়োজনে নদী পেরিয়ে ধাত্রীগ্রাম ও সমুদ্রগড় এলাকায় আসতে হয়। কয়েক দশক ধরে এই সমস্ত গ্রামের মানুষ বাঁশের মাচান দিয়ে নৌকায় নদী পারাপার করতেন। সম্প্রতি পরিবহণ দপ্তরের উদ্যোগে তিনটি ফেরিঘাটে ছয়টি স্থায়ী জেটি তৈরি হয়েছে। কালীনগর ও উদয়গঞ্জের জন্য একটি এবং মনমোহনপুর ও কিশোরীগঞ্জের জন্য একটি করে জেটি তৈরি হয়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের মাচান দিয়ে যাতায়াতের দিন শেষ হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা খুশি।
কয়েক দশক ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ছিল এই সমস্ত গ্রাম। রাজ্যে পালাবদলের পর রাস্তাঘাট, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সহ নানা সরকারি সুবিধা এসমস্ত গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের মাচানের বদলে স্থায়ী জেটির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার সেই দাবিও পূরণ হওয়ায় তাঁদের ভোট পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারের সমর্থনে এই এলাকায় প্রচার করেন।
গ্রামের বাসিন্দা অনাথবন্ধু মণ্ডল বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের গ্রাম অনুন্নয়নের শিকার। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল পরিষেবা তেমন ছিল না। রাস্তাঘাট কাঁচা ছিল। পানীয় জলের জন্য ভরসা ছিল কয়েকটি টিউবওয়েল। আজ গ্রামে পিচের রাস্তা, পাড়ায় পাড়ায় ঢালাই রাস্তা হয়েছে।