যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
করোনা মহামারী পর্ব কাটিয়ে ফের পুজোর আনন্দে মেতেছে বাঙালি। মহালয়ার পরের দিন থেকেই পুজোর ঘোরাঘুরি শুরু হয়ে গেছে। গত দু’ বছর অনেকে ঘরে বসেই পুজো কাটিয়েছেনো। তাই এবার উৎসের আনন্দে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না বাঙালি। অনেকে আবার সপ্তমী থেকে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাবেন। তার আগে নদীয়ার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখতে চাইছেন।
তৃতীয়ার সন্ধ্যা থেকে রানাঘাট শহরে দর্শনার্থীদের ঢল নামতে শুরু করেছিল। যানজট নিয়ন্ত্রণে পঞ্চমী থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
ষষ্ঠীর দিন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিসি স্ট্রিট, ছোট বাজার, সুভাষ অ্যাভিনিউ, দে চৌধুরীপাড়া, ষষ্ঠীতলা পাড়া এলাকায় যানজট হয়। বিগ বাজারের পুজো মণ্ডপগুলির বাইরে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যানজট এড়াতে পুলিস, সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি পুরসভার অস্থায়ী ট্রাফিক কর্মীদের মোতায়েন করা হয়। এছাড়া ছিনতাই, কেপমারি, ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা এড়াতে সাদা পোশাকের পুলিস মোতায়েন করা হয়।
রানাঘাট জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, পুজো উপলক্ষে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় কল্যাণীর লুমনিয়াস ক্লাবের টুইন টাওয়ার থিম দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। বিকেল থেকেই মণ্ডপে পা গলানোর জায়গা ছিল না। কলকাতা শহর ও শহরতলিতে থেকে দর্শনর্থীদের ঢল নামে। তবে মণ্ডপসজ্জায় নজর কেড়েছে কল্যাণীর রথতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। টুইন টাওয়ার দেখতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, এত ভিড় যে দাঁড়িয়ে থাকা দায়। একটু দাঁড়িয়ে ছবি তোলাও যেন বড় অপরাধ। একই অবস্থা বাদকুল্লা, রানাঘাটেও। ষষ্ঠীর দিন রাস্তায় দুপুর থেকেই ভিড় দেখা গিয়েছে।