বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
২৫ বছর ধরে মালদহ জেলায় এই দেওয়াল লিখনের কাজ করা নারায়ণপুরের কাজল সিংহ বলেন, প্রতিটি নির্বাচন আমাদের কাছে বিরাট উৎসব। সবকাজ ফেলে আমরা এই দেওয়াল লিখন করি। এই কাজ আমাদের ভালোবাসা থেকে উঠে আসে। কিছু দিনের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলের ডাক পাব। আমরা খুবই উৎসাহী ও আনন্দিত। বছরের এই দিনগুলির জন্যই আমরা অপেক্ষা করে থাকি। এমনি সারাবছর অন্য কাজ করি। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, এখন আমরা প্রস্তুত আছি। ফ্লেক্স যতই ব্যবহার হোক আমাদের দেওয়াল লিখন কাজ হল নির্বাচনের অন্যতম শিল্প। আশা করি এটি কোনও দিন হারিয়ে যাবে না। আমরা অনেক সময় রাতজেগে কাজ করি। ঝড়, বৃষ্টি এলে ফ্লেক্স ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এই দেওয়াল লিখনের কাজ তিন মাস বেশি পর্যন্ত থেকে যায়।
সাহাপুরের মৃৎশিল্পীও ছোটোবেলা থেকে এই নির্বাচনের সময় দেওয়াল লিখনের কাজ করে। মৃৎশিল্পী রণজিৎ দাস বলেন, এখন প্রতিমা বানানোর কাজ নেই। বসেই আছি। তাছাড়া এই দেওয়াল লিখনের প্রতি আমার ছোটো থেকেই টান রয়েছে। যখন ছোটো ছিলাম তখন এই দেওয়াল লিখন শিল্পীদের কাজ দাঁড়িয়ে থেকে দেখতাম। অনেক দিনের চেষ্টায় এই কাজ শিখেছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ততই এই লেখার কদর বাড়বে।
এবারই প্রথম ভোট দেবেন ধ্রুব সাহা, সাগর হালদার, তমা তলফদারের মতো কলেজ পড়ুয়ারা। তাঁরা বলেন, পাড়ায় পাড়ায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। ডিজিটাল যুগেও শিল্পীদের প্রতিভা দেওয়ালে ধরা পড়ছে। এসব দেখতে এখনও ভালো লাগে। দেওয়াল লেখার সময়ে তাঁদের আমরা উৎসাহিত করছি। শিল্পীদের এই প্রতিভাকে আমরা সম্মান করি। তাঁরা খুব ধৈর্যের ও পরিশ্রমের সঙ্গে নিখুঁতভাবে কাজটি করেন।
ডিজিটাল যুগে এখন চারিদিকে ফেক্সের ব্যবহার চলছে। তাই আগের মতো বিভিন্ন বিজ্ঞাপনমূলক কাজে দেওয়াল লিখনের প্রয়োজন কমে গিয়েছে। এই শিল্পীরা বছরের অন্যান্য সময় অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু নির্বাচনগুলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাঁদের ডাক আসে। এলাকায় এলাকায় দেওয়ালে তাঁরা ভোটের পরিবেশ গড়ে তোলেন। নির্বাচনই তাঁদের প্রতিভাগুলিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।