বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত সংযোগকারী রাস্তা এখনও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। যেগুলি অতীতেই সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল। এই রাস্তার ওপর দিয়েই রোজ কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করেন। এনিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। নেতারা ভোট চাইতে এলে রাস্তা সংস্কার করার দাবি রাখা হবে।
চাঁচলের বিধায়ক কংগ্রেসের আসিফ মাহবুব বলেন, নতুন করে রাস্তা তৈরি বা সংস্কার করা তা আমাদের আওতায় খুব কম রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পূর্তদপ্তর অথবা রাজ্য সরকারের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। এখন নির্বাচন আচরণ বিধি চলছে। তাই এনিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। ভোটের পর আমরা গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।
জেলা পরিষদ সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা কংগ্রেসের বন্দনারানি ঘোষ বলেন, চাঁচল-১ ব্লকের বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তা অনেকদিন ধরেই বেহাল হয়ে আছে। ওসব রাস্তা যাতে ঢালাই করা যায় সেনিয় আমরা জেলা পরিষদ থেকে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। ভোটের পর আমরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করব।
চাঁচল-১ ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের নৈকান্দা থেকে ভায়া আশাপুর কোবাইয়া পর্যন্ত ছ’কিমি রাস্তা বেহাল হয়ে আছে। রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশই ইটের থাকায় গ্রামবাসীদের সমস্যা আরও বেড়ছে। অনেক জায়গা থেকেই ইট উঠে গিয়েছে। এছাড়াও ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানন্দপুর হনুমান মন্দির থেকে আশ্বীনপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তা বেহাল হয়ে আছে। মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁড়িয়ান মোড় থেকে মহানন্দপুর স্বরূপগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক ছোটবড় রাস্তা কাঁচা থাকাই বর্ষাকালে চলাচল করা যায় না। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তাগুলি বেশিরভাগেই জরাজীর্ণ থাকায় গ্রামবাসীদের সাইকেল, মোটর বাইক নিয়ে চলতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। এলাকায় একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা ওই রাস্তাগুলি দিয়ে যাতায়াত করে। অনেক সময়ই বেহাল রাস্তার কারণে তাদের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। শীতকালে কোনওরকম চলাফেরা করা গেলেও বর্ষাই এলাকা দিয়ে চলাচল করা যায় না। ফলে বর্ষার আগেই গ্রামবাসীরা দ্রুত রাস্তাগুলি সংস্কারের দাবি তুলেছেন।