বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
আরএন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা বলেন, অসাবধানতাবশত অনেকেই হাসপাতালের দেওয়ালে পান, গুটখার পিক ফেলেন। যেখানে সেখানে নোংরা ফেলে দেন। এসব রুখতে স্বাস্থ্যদপ্তর বড় বড় হরফে লিখে শুধু দৃষ্টি আকর্ষণ করাই নয়, জরিমানার পরিমাণও তাতে উল্লেখ করে দিয়েছে। তাই এখন ক্যাম্পাস নোংরা করতে কমবেশি সকলেই ভয় পাচ্ছে। প্রশাসনের এমন চিন্তাভাবনা খুব ভালো উদ্যোগ।
হবিবপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পার্থ সরকার বলেন, আমরা এর আগে হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বিভিন্নরকম পরামর্শ দিয়ে বোর্ড লিখেছিলাম। কিন্তু সেসব মানুষকে সেভাবে আকর্ষণ করতে পারেনি। এবার জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা শোলের ডায়ালগ ও গব্বর সিংয়ের ছবি দিয়ে গল্প বেঁধে প্রচার করেছি। তাতে জরিমানার পরিমাণও লেখা হয়েছে। এখন দেখছি এটা খুব কাজে দিয়েছে। মানুষ মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন এবং তা পালনও করছেন। আমরা আগামী দিনে ব্লকের অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এমন ফ্লেক্স ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
হাসপাতালের সামনের রাস্তায় বড়মাপের ওই ফ্লেক্সটি রয়েছে। সেটি সকলেরই কমবেশি নজর আসে। অভিনব এই প্রচার চোখে পড়লে মানুষজন খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে তা দেখে নিচ্ছেন। এনিয়ে গ্রামেগঞ্জে আলোচনাও চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই এটি লাগানো হয়েছে। আর তারপর থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ আগের থেকে অনেক কম নোংরা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে শুধু শোলে সিনেমার ডায়ালগই নয়, ফ্লেক্সে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের ছবি দিয়ে লিখেছে ‘কোথাও নোংরা করবেন না।’ হাসপাতালের ভেতরেও এমন কয়েকটি ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনে এমন সচেতনতামূলক বার্তা আরও দেওয়া হবে।
মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। ব্লক সদরে বুলবুলচণ্ডীর আরএন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার জন্য কয়েকশো রোগী আউটডোরে আসেন। মূলত বুলবুলচণ্ডী, আইহো, হবিবপুর থেকে লোকেরা আসেন। কিন্তু রোগী ও তাঁদের সঙ্গে আসা পরিজনরা যেখানে সেখানে পান, গুটখার পিক ফেলেন। নির্দিষ্ট জায়গায় ডাস্টবিন থাকলেও সেখানে তুলো, ব্যান্ডজ না ফেলে যত্রতত্র ফেলে দেন। এসব রুখতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এমন অভিনব উদ্যোগ আগে দেখা যায়নি। শুধু ফ্লেক্স দিয়ে প্রচারই নয়, তাতে জরিমানার অঙ্কও লেখা আছে। তাই ভয়ে অনেকেই যেখানে সেখানে নোংরা ফেলছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন হাসপাতাল চত্বর আগের থেকে অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে। শুধুমাত্র লেখা থাকলেই তা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে না। সেক্ষেত্রে সিনেমার ডায়ালগ দিয়ে এমন সচেতনতামূলক প্রচার অনেকটাই কার্যকর হয়েছে।