বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন নার্গিস বিবি(৫৫) ও তাঁর মেয়ে আসমেরা বিবি(২৫)। ওই ঘটনায় জখম হয়েছে আসমেরা বিবি’র ছেলে আশিক আলি ও ভাইঝি নাজমুন আরা খাতুন। ওই চারজনই চাঁচলের যদুপুরের বাসিন্দা। এদিন তাঁরা বাড়ির এক অনুষ্ঠানের জন্য বাঁধরোড ধরে আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করতে যাচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ করতে এসে এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘাতক গাড়ির চালক কানে মোবাইল নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ফলে বাঁধের বাঁকের মুখে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। সেখান থেকেই দুর্ঘটনা ঘটে। চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গাড়ির চালককে আমরা খুঁজছি। পাশাপাশি গাড়িতে আগুন ধরানোর পেছনে কারা আছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচলের যদুপুরের বাসিন্দা নার্গিস বিবি’র মেয়ের আসমিরার বিয়ে হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চন্দননগরে। আগামী সোমবার আসমিরার পারিবারিক অনুষ্ঠান আছে। সেই কারণেই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ির তরফের আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করতে তিনি যদুপুরে এসেছিলেন। বুধবার মা ও ছেলেকে নিয়ে তিনি নিমন্ত্রণ করতে বের হন। তখন তাঁদের পিছু নেয় আসমিরা খাতুনের ভাইঝিও। বাঁধরোড দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা একটি ছোটগাড়ি তাঁদের ধাক্কা দেয়। চারজনই গাড়ির তলায় ঢুকে যায়। ঘটনাস্থল থেকেই আসমিরা খাতুনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারপরে স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে নার্গিস বিবি মারা যান। আশিক ও নাজমুন আরাকে মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দা বাঁধে বাঁক নেওয়ার সময়েই ওই ছোটগাড়ির চালক প্রথমে একজন ফুচকাওলাকে ধাক্কা মারে। তারপর তড়িঘড়ি পালানোর চেষ্টার সময় ওই নার্গিস বিবিদের ধাক্কা মারে। এরপরেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।