বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
জেলা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই কোচবিহারে মাদার ও যুব’র মধ্যে দ্বন্দ্ব মারাত্মকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছিল। এর জেরে একাধিক ব্যক্তির প্রাণও গিয়েছে। এই দ্বন্দ্ব মেটানোর ক্ষেত্রে দলের জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের ভূমিকা নিয়েও বার বার প্রশ্ন উঠেছিল। দলের অন্দরেই জল্পনা ছড়িয়েছিল পার্থবাবু প্রার্থী হলে রবীন্দ্রনাথ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীদের একটা বড় অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি যুবদের একাংশও তাঁর সঙ্গে থাকত না। এসবের জেরে নির্বাচনের প্রচার পর্বে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হত। সেক্ষেত্রে পরেশবাবুকে প্রার্থী করে কার্যত যথার্থ পদক্ষেপ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী । তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্বে ছায়া পরেশবাবুর শরীরে পড়েনি। এটা তাঁর কাছে প্লাস পয়েন্ট। এদিকে রবীন্দ্রনাথবাবু বুথস্তরে তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকজনকে নিয়ে বুথ কমিটিগুলি সাজিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি পোলিং এজেন্ট হিসাবেও কর্মীদের ইতিমধ্যেই বাছাই করার কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে জেলায় দলের সমস্ত মহলে বর্তমানে রবীন্দ্রনাথবাবুর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এটা পরেশবাবুর কাছে বাড়তি সুবিধা। তৃণমূলের একাংশের মতে দলের সবপক্ষকে একছাতার তলায় আনার কাজে তিনি কতটা সফল হবেন তার উপরই তাঁর ভোটের অঙ্ক নির্ভর করছে। অন্যদিকে পরেশবাবুকে তৃণমূল প্রার্থী করায় বিজেপি শিবিরের মধ্যে আচমকাই আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। তবে যুব ও মাদারের দ্বন্দ্বের জেরে যে ফায়দা বিজেপি তোলার চেষ্টা করছিল পরেশবাবুকে প্রার্থী করে তাতে জল ঢেলে দিয়েছে তৃণমূল।