ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
রবিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করে বাগদাদির মৃত্যুর খবর জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কাপুরুষের মতো, কুকুরের মতো মরেছে বাগদাদি।’ এরপর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোটা বিশ্ব এখন সুরক্ষিত। আর কখনও কাউকে ও মারতে পারবে না। লাদেনের পর জঙ্গিদমনে এটাই মার্কিন বাহিনীর দ্বিতীয় বড় সাফল্য। বিশ্বজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায় বাগদাদির মৃত্যুর খবরে। এরপর সোমবার আইএস সুপ্রিমোর মৃত্যুকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার দুই অসহায় মহিলা। পেশায় রাজমিস্ত্রী তথা তেহট্টের বাসিন্দা প্রয়াত খোকন সিকদারের স্ত্রী নমিতা বলেন, ‘টিভির খবরে বাগদাদির মৃত্যুর কথা জেনেছি। আমি ভীষণ খুশি। যে ৩৮ জন নিরীহ মানুষকে আইএস হত্যা করেছিল, তাদের মধ্যে আমার স্বামীও ছিলেন। হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষকে খুন করেছে ওরা। বাগদাদির মৃত্যু এবং জঙ্গি শিবির ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ প্রাণে বাঁচলেন।’
চাপড়ার বাসিন্দা দীপালি টিকাদারও হারিয়েছেন তাঁর স্বামী তথা ইলেক্ট্রিশিয়ান সমর টিকাদারকে। তিনিও লোকমুখে শুনেছেন বাগদাদির মৃত্যুর খবর। দীপালির কথায়, ‘আরও আগে ওকে খতম করে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে বহু নিরীহ মানুষ প্রাণে বেঁচে যেতেন। যতটা নৃসংশভাবে আইএস জঙ্গিরা মানুষ খুন করত, তার থেকেও নিষ্ঠুরভাবে বাগদাদিকে হত্যা করা উচিত ছিল।’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে খুনের চার বছর পর ২০১৮ সালে মসুল থেকে ৩৯ জনের গণকবর উদ্ধার হয়। তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁদের দেহাবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনেন। ডিএনএ পরীক্ষার পর খোকন ও সমরের মৃত্যু নিশ্চিত হয়।
এদিকে বাগদাদির মৃত্যু ‘দেশ ও বিশ্বের কাছে ঐতিহাসিক দিন’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার। তাঁর কথায়, ‘আইএস নেতা এবং আধুনিক নৃশংস সন্ত্রাসবাদের জনক মার্কিন সেনাবাহিনীর হাতে খুন হয়েছে।’ আলাদা একটি বিবৃতি জারি করে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বলেছেন, ‘সঙ্গীদের নিয়ে আমরা আইএসআইএসের ক্যালিফেট, প্রতিষ্ঠাতা ও সুপ্রিমোকে হত্যা করেছি। এবং সেইসঙ্গে পরাস্ত হয়েছে আইএস মিশন।’
অন্যদিকে, বাগদাদির মৃত্যু যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে সন্ত্রাস দমনে গোটা বিশ্বের কাছে নজির সৃষ্টি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাশিয়া। এর আগে বাগদাদির মৃত্যু নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণায় সংশয় প্রকাশ করেছিল মস্কো। তবে সোমবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমাদের আধিকারিকরা ওই এলাকা দিয়ে বিমান ও ড্রোন ওড়া দেখেছেন। এটা তারই ফল মনে হচ্ছে। যদি সত্যিই বাগদাদির মৃত্যু হয়, বিশ্ব সন্ত্রাস দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।’ অস্ট্রেলিয়াও বাগদাদির মৃত্যুকে আইএস নিধনে বড় ধাক্কা বলে জানিয়েছে। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী মারিজ পেইন বলেছেন, ‘জাতি হিংসা, যৌন দাসত্ব এবং অন্যান্য মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য বাগদাদিই দায়ী। তার মৃত্যু আইএস নিধনে বড় সাফল্য।’