বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ডার্বির দু’দিনের সেমিনারটিকে যৌথভাবে আয়োজন করেছিল ব্রিটেনের কলেজগুলি। ডার্বি কলেজে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এই ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত বহু মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরই এক ফাঁকে কেরল, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং গুজরাত থেকে আসা ভারতীয় প্রতিনিধিরা রোলস রয়েস-এর কারখানা এবং ডার্বি কান্ট্রি ক্রিকেট ক্লাব ঘুরে দেখেন। ব্রিটেনে ক্রীড়া, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, প্রসাধন, পর্যটন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর মতো প্রযুক্তিক্ষেত্রে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হয়েছে এই প্রতিনিধিদের। আর তাই এই ক্ষেত্রগুলি নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে পুরোদমে আলোচনাও চালিয়েছেন তাঁরা।
সেমিনার শুরু আগেরদিন সন্ধ্যায় ব্রিটেনে বসবাসকারী বাঙালিদের সংগঠন বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এবং লন্ডন শারদ উৎসবের প্রতিনিধিরা রোশনিদেবী এবং দেবাঞ্জনবাবুর দেখা করেন। লন্ডনের ওই বৈঠকে ছিলেন ব্যারোনেস উষা প্রসার, কমনওয়েল্থ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের সিইও অ্যালান গেমেল এবং ইউকেআইবিসি’র সিওও কেভিন ম্যাককোল। ওই বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। প্রথমেই বাংলা এবং বাঙালিকে আন্তর্জাতিক স্তরে কী করে যুক্ত করা যায় তা নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানান লন্ডন শারদ উৎসবের নবীন প্রজন্মের সদস্যরা। তারা জানান, ব্রিটেন থেকে বাংলায় পড়াশোনা করতে গেলে বা বাংলার পড়ুয়ারা ব্রিটেনে পড়তে এলে, তা দু’দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। বিসিআইয়ের ডিরেক্টর দেবাঞ্জনবাবু ‘বর্তমান’-কে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল আগেই এই ব্যবস্থা করেছে, কিন্তু তার পরিসর আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
এরপর বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে অংশগ্রহণের বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা জানান বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি তাঁরা ব্রিটেন ও বাংলার মধ্যে কী করে প্রতিভার আদানপ্রদান করা যায় তা নিয়েও কথা বলেন। সাধারণ তথ্যপ্রযুক্তি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং অটোমেশন শিল্পে বাঙালি প্রতিভা এবং মেধার জন্য কতটা সম্ভাবনা রয়েছে, সেটাও আলোচনায় উঠে আসে। সবশেষে দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতিগতভাবে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনাচক্রে তুলে ধরা হয়। দুর্গাপুজো, নদী উৎসব ও লন্ডন ল্যুমিয়ের ফেস্টিভ্যালের মতো আলোর উৎসবের মাধ্যমে কী করে দু’দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা হয়। লন্ডন ল্যুমিয়ের ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে চন্দননগরের আলো শিল্পীদের যুক্ত করা যায় কি না, সেবিষয়েও আলোচনা হয়।
প্রতিবছর মোটামুটি জানুয়ারিতে লন্ডনে ল্যুমিয়ের ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। প্রায় ৪০ জন শিল্পীর চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে গোটা শহর। অন্যদিকে, টেমস এবং হুগলি নদীকে মিলিয়ে একটি নদী উৎসব এবং পশ্চিমবঙ্গ-এডিনবরা-নরউইচ-নটিংহামকে নিয়ে একটি সাহিত্য উৎসব আয়োজন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।