বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
দুবাই থেকে একটি পাক সংবাদ চ্যানেলকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পঁচাত্তর বছরের মোশারফ দাবি করেছেন, জয়েশ-ই-মহম্মদ যে একটি জঙ্গি সংগঠন, আগাগোড়াই তা জানতেন তিনি। তাহলে নিজে কেন জয়েশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি? মোশারফের সাফাই, ‘তখন পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। আমাদের গোয়েন্দারা ভারতকে ইটের জবাব পাটকেলে দিতে চেয়েছিল। তাই ওই সময় জয়েশের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমিও এর জন্য কোনওরকম চাপ সৃষ্টি করিনি।’
তবে, বর্তমানে পাকিস্তানের মাটিতে জয়েশ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ধরপাকড়ের যে উদ্যোগ পাক সরকার নিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, ‘এটা খুবই ভালো পদক্ষেপ। আমি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি যে, জয়েশ-ই-মহম্মদ একটি জঙ্গি সংগঠন। আমাকে হত্যা করতে ওরা দু’বার হামলা চালিয়েছিল। একবার আত্মঘাতী হামলাও করেছিল। ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল। অবশেষে যে সেটা হচ্ছে, তাতে আমি খুবই খুশি।’ পুলওয়ামা হামলার পর বাড়তে থাকা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে গত মঙ্গলবার জয়েশের ৪৪ জন সদস্যকে আটক করে পাক প্রশাসন। এদের মধ্যে জয়েশ-প্রধানের ছেলে ও ভাই রয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যা করেছিল আদিল দার নামে এক জঙ্গি। হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আদিলকে নিজেদের লোক বলে দাবি করে ভিডিও প্রকাশ করে জয়েশ-ই-মহম্মদ। তারপরের ঘটনাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তাপ ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। গত মাসে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এক সাক্ষাৎকারে জয়েশ-প্রধান মাসুদের পাকিস্তানে থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তবে, যতক্ষণ না ভারত মাসুদের বিরুদ্ধে কোনও অকাট্য প্রমাণ হাজির করছে, ততক্ষণ তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই পাক সরকার নিতে পারবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে, পাক সেনা কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই সেদেশের মাটিতে জয়েশের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন দেশের প্রাক্তন সামরিক শাসক তথা সেনাপ্রধান যে মন্তব্য করেছেন, তাতে যথেষ্টই বিপাকে পড়তে হবে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের মসনদে ছিলেন পারভেজ মোশারফ। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে পাক আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা চলছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর ২০১৬ সালে দুবাই পাড়ি দেন তিনি।