নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভিলেন তাহলে ‘চারশো পার’? যারা এই স্লোগানে ভোটপর্বে আচ্ছন্ন হয়েছিল, এখন তারাই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে চারশো পার স্লোগানকে। মঙ্গলবার চারশো পার স্লোগান নিয়ে মানুষের নেতিবাচক মনোভাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন একনাথ সিন্ধে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। আর বুধবার সংযুক্ত জনতা দলের নেতা কে সি ত্যাগীও সেই প্রসঙ্গে বললেন, ভুল বার্তা গিয়েছে। সরাসরি না হলেও আদতে খোদ শরিকদের মুখে এই ক্ষোভের তির আদতে কি নরেন্দ্র মোদির দিকেই? কারণ সেপ্টেম্বর মাসে সংসদের নতুন ভবনে খোদ মো঩দিই প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন চারশো পার স্লোগানের কথা। তারপর থেকে ক্রমেই এই স্লোগানই ভোটের প্রচারের মূলমন্ত্র হয়ে যায়। প্রথমে বিজেপি নেতাকর্মীরা, তারপর এনডিএ জোটের শরিকদের মুখেও শোনা যায় একই  দাবি। অর্থাৎ ‘আব কি বার চারশো পার’। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সর্বাগ্রে মুখ থুবড়ে পড়ে এই স্লোগান। চারশো দূরঅস্ত। আড়াইশো পারই হয়নি বিজেপির। এনডিএ সরকারের শপথগ্রহণের পর এবার ইতিউতি কারণ বিশ্লেষণ এবং আত্মসমালোচনার পর্ব শুরু হয়েছে দল ও জোটে। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এনডিএ জোটের সঙ্গী একনাথ সিন্ধে বলেছেন, চারশো পার স্লোগান আমরাও দিয়েছি। কিন্তু এই স্লোগানকে বিরোধীরা সম্পূর্ণ নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করেছে। আর মানুষ বিশ্বাসও করেছে যে, সত্যিই চারশো পার হয়ে গেলে এনডিএ জোটের সরকার সম্ভবত বড়সড় কোনও সিদ্ধান্ত নেবে। একটা ভয় আর অনিশ্চয়তার বাতাবরণ হয়েছিল। তারই জেরে মানুষ ভুল বুঝে বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। বুধবার একই কথা বলেছেন, নীতীশকুমারের দল সংযুক্ত জনতা দলের মুখপাত্র কে সি ত্যাগী। তিনি বলেছেন, চারশো পার স্লোগান নিয়ে অবশ্যই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। বিরোধীদের অপপ্রচারে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। মানুষ ভেবেছে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসে সংবিধান বদলে দেবে। আর তাই ক্ষোভের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। চারশো পারকে খলনায়ক এখন বলা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কিন্তু যে প্রশ্ন জোট শরিক অথবা বিজেপির অন্দরে করা হচ্ছে না, সেটি হল, এই স্লোগানের জন্ম হল কীভাবে? কে তৈরি করল? প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর? প্রধানমন্ত্রী নিজে? নাকি কোনও বিজ্ঞাপনী সংস্থার কপিরাইটার? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।