সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের মতো এবার দিল্লি হাইকোর্টও ভর্তির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হল না। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগে একটি মামলায় বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট এনটিএ-কে জবাব পেশের জন্য অতিরিক্ত সময় দিল। এবিষয়ে ফের আগামী ৫ জুলাই শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ও গ্রেস মার্কস নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি নিট-এ এবার কীভাবে ১০০ শতাংশ নম্বর নিয়ে একসঙ্গে ৬৭ জন পড়ুয়া শীর্ষ স্থান দখল করলেন, সেই প্রশ্নে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র হরিয়ানার একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ৬ জনের শীর্ষ স্থান পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তারই মধ্যে শীর্ষ স্থান দখলকারী এক পরীক্ষার্থী মৃদুল মান্য আনন্দ গ্রেস মার্কস প্রদানের বিরোধিতা করলেন। তাঁর বক্তব্য, সময় নষ্টের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া যেতে পারে। গ্রেস মার্কস দেওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত সময়ের পরিবর্তে বেশি নম্বর দিয়ে দেওয়াটা কঠিন প্রশ্নের জন্য বেশি নম্বর দেওয়ার শামিল।
বিতর্কের মুখে পড়ে এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গ্রেস মার্কস ইস্যুতে ব্যাখ্যা দিল এনটিএ। বেশি নম্বর ওঠার বিষয়টি নিয়ে (১০০ শতাংশ নম্বর সহ একসঙ্গে ৬৭ জনের প্রথম হওয়ার ইস্যুতে) তাদের বক্তব্য, গতবারের থেকে এবার সিলেবাস ২২ থেকে ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছিল। গ্রেস মার্কস ইস্যুতে এনটিএর বক্তব্য, পরীক্ষাকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ থেকে সময় নষ্টের বিষয়ে আগে নিশ্চিত হওয়া হয়েছিল। সেই সূত্রেই পরীক্ষার্থী বিশেষে কত সময় নষ্ট হয়েছিল ও উত্তর লেখার দক্ষতা কেমন ছিল, তা বিচার করে বাড়তি নম্বর প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের ভিত্তিতে মোট ১ হাজার ৫৬৩ জনকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করে এনটিএ বলেছে, রাজস্থানের সোয়াই মাধোপুরের একটি স্কুলে পরীক্ষার শুরুর সময় ভুল করে হিন্দি মাধ্যমের পড়ুয়াদের ইংরেজি ও ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়াদের হিন্দি প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। এর ফলে সময় নষ্ট হওয়ায় কিছু পড়ুয়া প্রতিবাদে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরিয়ে আসেন। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে প্রশ্নপত্রও ছিল। সেই প্রশ্নপত্রেরই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়ে যায়। তবে ততক্ষণে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটে বেজে গিয়েছিল। ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ঠিক নয়। যদিও তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। নিট-এ অনিয়মের অভিযোগে এদিনও সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।