সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণবঙ্গে বিশেষত উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে অস্বস্তিকর গরমের অন্যতম কারণ হল বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি। বর্ষা আসার আগে অবশ্য এরকম পরিস্থিতি অস্বাভাবিক নয়। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির কারণ অবশ্য আলাদা। বিহার-ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে আসা উত্তর-পশ্চিমা শুষ্ক ও গরম বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে এসব এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪৪.৯ ও ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যত্র একইরকম অস্বস্তিকর গরম থাকবে। তবে সোমবার মুর্শিদাবাদ সহ কয়েকটি জেলায় স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে কিছুটা ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সম্পূর্ণ উল্টো ছবি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অতিবৃষ্টির জেরে পাহাড়ি এলাকায় ধস, নদীতে জলস্ফীতি, নিচু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিহার থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত আছে, সেটি উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বিহারের উপর। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের দিকে। তাছাড়া, গত মাসের শেষেই উত্তরবঙ্গে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের এই অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে, গরমের এই মারকাটারি ‘পারফরম্যান্স’ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা তথ্য। অনেকে দাবি করছেন, এই গরমের প্রকৃত অনুভূতি নাকি কোথাও কোথাও ৫০-৬০ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাচ্ছে! আবহাওয়া অধিকর্তা এই ধরনের তথ্য নস্যাৎ করে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘গরমের অনুভূতি কিছুটা হলেও ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে। তাই এমন তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।’