সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
কিন্তু প্রশ্ন হল, অবৈধ খাদানকে ঘিরে লালার ভূমিকা জানা গেল কীভাবে? সূত্রের খবর, ইসিএলের ভিজিলেন্স বিভাগ জানতে পারে, লিজ হোল্ড এলাকাতে ব্যাপক হারে অবৈধ খনন চলছে। তার ভিত্তিতে তাদের টাস্ক ফোর্স তপসি ও লচিপুর গ্রামে হানা দেয়। দেখা যায়, অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। রাখা রয়েছে মেশিনপত্র। লরিতে লোড করা হচ্ছে কয়লা। তপসির কুনুস্তরিয়ার ইসিএলের দায়িত্বে রয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার অমিত কুমার ধর এবং কাজোরাতে রয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার জয়েশচন্দ্র রাই। এই দু’টি এলাকাতে নিরাপত্তা দেখভাল করেন সিকিউরিটি চিফ তন্ময় দাস, এরিয়া সিকিউরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রাই ও সিকিউরিটি ইনচার্জ দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ইসিএলের লিজ এলাকা থেকে কয়লা তুলছেন লালা। তাঁকে সাহায্য করছে সিআরপিএফের এর একাংশও। পাশাপাশি রেলের সাইডিং এলাকায় ওয়াগন ভেঙ্গে কয়লা চুরিতেও অভিযুক্ত লালা। রেলকর্তাদের মদত ছাড়া যা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। লালার এই অবৈধ কয়লা কারবারের সবিস্তার রিপোর্ট জমা পড়ে ইসিএলের সদর দপ্তরে। তাতে ইসিএলের পাঁচ কর্তার নামও ছিল। তদন্তের কাজে এই তথ্য আয়কর দপ্তর ও সিবিআইকে দেওয়া হয়।
নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আয়কর কর্তারা লালার বাড়ি, অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন। বাজেয়াপ্ত করা হয় বহু নথি এবং কালো টাকা। প্রাপ্ত তথ্যও সিবিআইকে দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে সিবিআই শুক্রবার পাঁচ শীর্ষকর্তা সহ লালার বিরূদ্ধে দুর্নীতি দমন সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করে। অভিযুক্তদের মধ্যে চার জনের বাড়ি ভিন রাজ্যে। তার ভিত্তিতে তৈরি হয় ৬টি টিম। শনিবার ভোরে লালার নিতুড়িয়ার দু’টি বাড়িতে হানা দেন সিবিআই কর্তারা। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এখান থেকে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। আর একটি টিম তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে এবং শেক্সপিয়র সরণীর অফিসে তল্লাশি চালায়। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের বাকি টিমের অফিসাররা হানা দেন ইসিএলের পাঁচ কর্তার বাড়িতে। সেখান থেকে লালার সঙ্গে যোগাযোগের যাবতীয় নথি, টাকা আদান-প্রদানের চালান সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি লালার সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত কথা হতো বলে মোবাইলের কল লিস্ট ঘেঁটে জানা গিয়েছে। এদিন তাঁদের একদফা জেরা করা হয়। ফের তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।
জেরার মুখে মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: সিবিআইয়ের অভিযানের সময় জেরার মুখে পড়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল ইসিএলের এক নিরাপত্তা আধিকারিকের। মৃতের নাম ধনঞ্জয় রাই (৪৫)। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এরিয়ার সিকিউরিটি আধিকারিক ধনঞ্জয়বাবুর কোয়ার্টারে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। জিজ্ঞাসাবাদ করার
সময়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত ইসিএলের কাল্লা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়।