সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথবাবুকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যান। বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে তাঁরা মদ্যপান করেন। সেখানে আরও কয়েকজন ছিলেন। রাত ১১টার পর বাড়ির অদূরে রাস্তায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এই তৃণমূল নেতাকে। তাঁর বাইকটি পড়েছিল খানিকটা দূরে। স্থানীয় লোকজন ওই নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের দাবি, রবীন্দ্রনাথকে মদ্যপানের সময় মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে অজ্ঞান করে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
মৃতের স্ত্রী বলেন, পাড়ার কয়েকজনের থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। সেই টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যই ওকে খুন করা হয়েছে। রাতে কয়েকজন যুবককে বাঁশ হাতে নিয়ে ওইদিকে যেতে দেখেছিলাম। সম্ভবত তারাও জড়িত থাকতে পারে। কিছু টাকার জন্য এমন ঘটনা ঘটতে পারে, ভাবতে পারছি না। তবে কার থেকে কত টাকা ধার নিয়েছিলেন স্বামী, তা বলতে পারেননি তিনি। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে মৃতের বাড়িতে আসেন স্থানীয় বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, রবীন্দ্রনাথের কোনও রাজনৈতিক শত্রু ছিল না বলে জানি। ফলে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা পুলিস তদন্ত করে বের করুক। কীভাবে খুন করা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
ধার দেনা নিয়ে পরিবার যে অভিযোগ করছে, তার পাশাপাশি অন্য কোনও বিষয় রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে জীবনতলা থানা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ আপাতত নেই বলেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। যদিও পুলিস কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না।