সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
গত তিন মাস ঘরে চলা লোকসভা ভোট শেষ হয়েছে ৪ জুন। নির্বাচনী বিধি উঠেছে ৬ জুন। আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে ১০০ দিনের কাজের বিকল্প হিসেবে ৫০ দিনের কাজের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বাজেটে নতুন ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের জন্য অর্থ মঞ্জুরও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় নির্বাচন পর্বেও গ্রামের মানুষ হাতে কিছু কাজ পেয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মতো উত্তর ২৪ পরগনাতেও এই প্রক্রিয়া চলছে জোরকদমে। বিভিন্ন ব্লকে সরকারি আধিকারিকরা কর্মশ্রী প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। জেলায় ১৮টি দপ্তর থেকে বিভিন্ন কাজ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে সেই সংখ্যা বাড়বে বলেই খবর। উল্লেখ্য, এবার লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় ভোটপ্রচারে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে ছিল কর্মশ্রী প্রকল্পের কথা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মধ্যে অন্যতম ১০০ দিনের কাজকে সামনে রেখে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কর্মশ্রীতে মানুষ কীভাবে উপকৃত হন, তাও তুলে ধরেন তিনি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে বিভিন্ন পর্যায়ে দক্ষ শ্রমিকরা পেয়েছেন ৫০০ টাকা। যাঁরা আংশিকভাবে দক্ষ, তাঁরা দিনে ৩৭৫ টাকা করে, নতুন কর্মীরা ২৫০ টাকা করে পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, যেখানে যেমন চাহিদা তৈরি হবে, তা ব্লক বা পঞ্চায়েত অফিসে জানাবেন জবকার্ড হোল্ডাররা। সেই মতো কাজ বণ্টন করা হবে। কেবল ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে যাঁদের কার্ড রয়েছে, তাঁরাই এই কাজ পাচ্ছেন। ২২টি ব্লকে ১৮টি প্রকল্পে ৪৪৭ ধরনের স্কিমে এই কাজ চলছে। ২ হাজার ৮৯২ জন শ্রমিক কাজ পেয়েছেন। তৈরি হয়েছে ৬২ হাজার ৩৩৮টি কর্মদিবস। শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ২ কোটি ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৭০৯ টাকা খরচ হয়েছে। আর সামগ্রীর খরচ ধরলে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই ২২ দিনের কাজ পেয়ে গিয়েছেন শ্রমিকরা। এ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, আমাদের সরকার সর্বদা মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সরকার যা বলে, সেটা করে দেখায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ১০০ দিনের প্রকল্পের বিকল্প কাজ দেব। তা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের লক্ষ্য, রাজ্যে কর্মশ্রী প্রকল্পে শীর্ষ স্থানে যাওয়া।