সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সরস্বতী নদী রয়েছে ইতিহাসের পাতায়। এই নদীর বুকেই ছিল সমৃদ্ধ বন্দর সপ্তগ্রাম। নদীটি গতি হারিয়েছে আগেই। এখন তা মজে যাওয়া খালের রূপ নিয়েছে। কোথাও মানুষ আবর্জনা ফেলে। কোথাও বেআইনি দখলদারে ভরে গিয়েছে সরস্বতী। বন্যাপাড়া থেকে সরস্বতী ব্রিজ যাওয়ার রাস্তার পাশে নদীর উপর বেআইনি দোকান তৈরি হয়েছে। আন্দুল বাজারের যাবতীয় জঞ্জাল নদীতে ফেলা হয়। আবার প্রাকৃতিক কারণেও সাঁকরাইলে মোহনার অংশে পলি জমে গিয়েছে। ফলে জোয়ার ছাড়া সেখানে জল প্রায় প্রবেশই করে না। সমস্ত বাধাবিপত্তি থেকে ঐতিহাসিক নদীটিকে উদ্ধার করতেই কাজ শুরু করেছে রাজ্য। সংস্কার কাজে বরাদ্দ হয়েছে পাঁচ কোটি তিন লক্ষ টাকা। বর্ষা চলাকালীন অধিকাংশ কাজ শেষ হবে বলে দাবি করা হয়েছে। রাজ্যের সেচদপ্তর সূত্রে খবর, লোয়ার দামোদর কনস্ট্রাকশন সাব ডিভিশন চার এবং নাজিরগঞ্জ হাওড়া ড্রেনেজ ডিভিশন এই দুই অংশে ছড়িয়ে থাকা সরস্বতী নদী খোঁড়া ও সংস্কারের কাজ করবে। সবমিলিয়ে ১২ কিলোমিটারজুড়ে নাব্যতা হারানো সরস্বতী থেকে অতিরিক্ত মাটি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। নদী ঢাল অনুযায়ী চলছে খোঁড়ার কাজ। দাবি, আগামী মরশুমের আগেই বেড়ে যাবে এই সাড়ে ১২ কিমি অংশের গভীরতা। ইতিমধ্যেই সাঁকরাইলের ঝোড়হাট এলাকায় জেসিবি নামিয়ে মাটি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে যাওয়া নদী পাড় মেরামত হবে। সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দখলদারি একটা বড় ইস্যু। আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি। যেখানে যেখানে সরস্বতী নদীর উপর দখল হয়েছে তা প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে। আন্দুল বাজার এলাকায় নদীর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বাজারের সমস্ত বর্জ্য ফেলা হয়। সেখানেও কাজ হবে। পাশাপাশি তিনটি জায়গায় আমরা নতুন কংক্রিট ব্রিজ তৈরির কাজ করব। পারাপারের জন্য সাত ফুট চওড়া হবে নতুন ব্রিজগুলি।
জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সাঁকরাইল মোহনার দিকে। দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে মোহনায় নদীবক্ষের মাটির স্তর উঁচু হয়ে গিয়েছে। ফলে জোয়ার ছাড়া গঙ্গা থেকে জল প্রায় ঢোকে না। সেচদপ্তর সেই টিলার মতন জমে থাকা পলি সরানোর কাজ করবে। ফলে গভীরতা বাড়বে নদীর। তবে আপাতত দুই পাড়ে মাটি কাটার কাজ হবে না। অর্থাৎ চওড়ায় নদীকে বাড়ানোর কাজে আপাতত হাত দিচ্ছে না সেচদপ্তর। আগামী বছর টলটলে জল দেখা দেবে সরস্বতীতে, আশা করছেন বাসিন্দারা।