সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
শ্রীরামপুরে তৃণমূলের সার্বিরভাবে লিড ও ভোটের শতাংশ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চণ্ডীতলা বিধানসভা বড় ভূমিকা নিয়েছে। এখানে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব ছিল জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদঘনিষ্ঠ নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায়ের হাতে। সুবীরবাবু বলেন, ‘সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন। রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প, স্থানীয় নেতৃত্বের জনসংযোগ, এসবই ওঁর বিপুল জয়ের মূলে আছে। বিজেপির ভেদাভেদের রাজনীতি চণ্ডীতলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই কারণে আইএসএফও এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি।’ বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোহন আদক বলেন, ‘গত বিধানসভার তুলনায় আমাদের ভোট বেড়েছে। সার্বিক ফলাফল দলীয় স্তরে পর্যালোচনা করব।’ বামনেত্রী তথা শ্রীরামপুরের লোকসভা ভোটের পরাজিত প্রার্থী দীপ্সিতা ধর বলেন, ‘আমাদের ভোটের হার এবং প্রাপ্ত ভোট কিছুটা বেড়েছে। আমরা চণ্ডীতলার মানুষের কাছে এই সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।’
গত প্রায় ১৫ বছর ধরে শ্রীরামপুরের চণ্ডীতলা বিধানসভা তৃণমূলের গড় হিসেবে পরিচিত। গত বিধানসভা ভোটে এই আসনে সিপিএমের মহম্মদ সেলিম আইএসএফের সমর্থন নিয়ে লড়েও সুবিধা করতে পারেননি। বিজেপি টলিউডের এক নায়ককে ভোটের প্রার্থী করেও চণ্ডীতলা দখল করতে পারেনি। ফলে এবারের লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে চণ্ডীতলায় তৃণমূলের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না। প্রশ্ন ছিল ব্যবধান কত হবে? পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণবাবু চণ্ডীতলা থেকে ১৭ হাজার ২১৬ ভোটে এগিয়েছিলেন। এবার তা ৩৫ হাজার ৩৫০য় গিয়ে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, এবার ভোটদানের হার কম ছিল। সেই নিরিখে ওই লিড আরও বাড়তি মাত্রা বহন করে। গত লোকসভায় বিজেপির ভোট প্রাপ্তির হার ছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ। এবার দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলেও সেই হার কমে হয়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ। গত লোকসভায় বাম ও কংগ্রেস পৃথকভাবে লড়ে যথাক্রমে ২৪ হাজার ৮৯২ এবং ৫ হাজার ২০০ ভোট পেয়েছিল। এবার জোট করে বামপ্রার্থী পেয়েছেনম ৩১ হাজার ৫৬২ ভোট। রাজনৈতিক মহল বলছে, বিরোধীদের কার্যত দুরমুশ করে চণ্ডীতলার দখল নিয়েছে ঘাসফুল শিবির।