দীপন ঘোষাল, কলকাতা: ভোট আসে, ভোট যায় অথচ খেলার স্টেডিয়াম থেকে যায় অধরাই। নিমতা গোলবাগান এলাকার বাসিন্দাদের প্রত্যাশা প্রত্যাশাই রয়ে যায়। বাম আমল থেকে যে স্বপ্ন দেখা শুরু তার বাস্তবায়ন কবে হবে তার প্রতীক্ষায় দিন গোনেন সাধারণ মানুষ। গোলবাগান মাঠকে ছোট স্টেডিয়াম হিসাবে গড়ে তোলার দাবি ছিল সাধারণ মানুষের। সেই দাবি মেনে ২০১৩-১৪ সালে সেখানে গ্যালারি, ড্রেসিংরুম তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন পুরপ্রধান সুনীল চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন সিপিএমের বোর্ড। নিমতার কল্যাণী রোড সংলগ্ন গোলবাগান মাঠটিতে জোরকদমে কাজ শুরু হয়। সেইসময় মূলত মাঠটি ব্যবহার হতো কঠিন বর্জ্য ফেলার কাজে। কাজ শুরুর পরই ময়লা ফেলা আটকাতে উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরেও দেওয়া হয় মাঠের চারপাশ। ভিতরে তৈরি হয় খেলোয়াড়দের জন্য ড্রেসিং রুম। কিন্তু এরপর হঠাৎই থমকে যায় বাকি কাজ। এদিকে, এরই মাঝে উত্তর দমদমের কুর্সি বামেদের হাতছাড়া হয়। ক্ষমতার দখল যায় তৃণমূলের হাতে। নতুন পুর বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ফের উদ্যোগ নেওয়া হয় গোলবাগান মাঠে স্টেডিয়াম তৈরির। বাম আমলের ড্রেসিংরুমের সংস্কার হয়। ঠিক করা হয় ভেতরের অংশ। মাঠের দুই ধারে বসানো হয় হাই মাস্ট লাইট। কিন্তু তারপর ফের আটকে যায় কাজ। অর্থাৎ গ্যালারি তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও তা তৈরি হয়নি এতদিনে। বর্তমানে স্রেফ কোচিং ক্যাম্প চলে। সমস্যা রয়েছে আরও। কল্যাণী রোডের দিকের গেটের সামনেই রয়েছে পুরসভার ভ্যাট। ফলে মাঝে মধ্যেই স্তূপকার হয়ে থাকে কঠিন বর্জ্য। পুরসভার তরফে দু’টি কন্টেনার সেই গেটের সামনে থাকলেও অধিকাংশ ময়লাই ফেলা হয় গেটের সামনে রাস্তার ওপর। যার জেরে যাতায়াতের অযোগ্যও হয়ে উঠেছে গেটের সামনের রাস্তাটি।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গ্যালারি সমেত স্টেডিয়ামে হবে এই আশা ছিল। ময়লা ফেলা বন্ধ করে পাঁচিল ওঠার পর সেই আশা বাস্তবায়ন হচ্ছে বলেই ভেবেছিলাম। কিন্তু হয়নি। একের পর এক ভোট পেরিয়ে যায়। অথচ কাজ এগয় না। উত্তর দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক
সুবোধ চক্রবর্তী বলেন, আমরা পুরোদমে চেষ্টা চালাচ্ছি গোলবাগান মাঠকে স্টেডিয়ামের রূপ দেওয়ার। তার জন্য ৪ কোটি টাকা প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের কাছে সেই আবেদন করা
হয়েছে পুরসভার তরফে। যদিও এখনও সেই টাকা মঞ্জুর করা হয়নি। ভোট মিটলে রাজ্যের তরফে টাকা এলেই আমরা গ্যালারি তৈরির কাজ শুরু করতে পারব। উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের দাবি, প্রশাসনিক টালবাহানা নয়, দ্রুত কাজ হোক মাঠটিকে নতুন রূপ দেওয়ার। সেই সঙ্গে সরানো হোক গেটের সামনে থেকে ময়লা ফেলার ওই ভ্যাটটিও।