উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বলাগড় থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যেখানে মাসুদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই এলাকায় বিজেপির প্রভাব আছে। তাছাড়া বুথের সহ সভাপতি হিসেবে মাসুদ দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তাঁর এলাকায় বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারেনি। ভোট ঘোষণার পর তাঁর সক্রিয়তা আরও বেড়েছিল। সেই কারণেই তিনি বিজেপি’র চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।
বিজেপির বলাগড় ব্লকের নেতা অলোক কুণ্ডু বলেন, তৃণমূলের অন্দরে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। বাইরে থেকে প্রার্থী আনা হলেও সেই দ্বন্দ্ব কমেনি। উনি নতুন প্রার্থীর হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন। সেই কারণেই খুন হতে হল কি না, পুলিস তা খতিয়ে দেখুক। আমরা খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ওসব তৃণমূলীরাই করে। তরুণ কর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বলাগড়ের তৃণমূল প্রার্থী তথা সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বলেন, ভোট মানে নীতির লড়াই। আমার একজন তরতাজা নেতাকে এভাবে চলে যেতে হল, ভাবতে পারছি না। আমি চাই, অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। তৃণমূল ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট এগিয়ে আসতেই দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে নেমে পড়েছিলেন মাসুদ শেখ। মগরার ডহর চাকুলইয়ের বাসিন্দা সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারের এই যুবক চাষাবাদের কাজ করতেন। এলাকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দুই’ই ছিল তাঁর।
মঙ্গলবারও তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে নিয়ে একাধিক কর্মসূচিতে যান তিনি। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ছিলেন জিরাটে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁকে দলের কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে। তারপর থেকে আর তাঁর খোঁজ মেলেনি। রাত দশটার সময় পরিবারের লোকজনও তাঁকে ফোন করে পাননি। সেই সময় তাঁর ফোন সুইচড অফ ছিল। বুধবার সকালে বলাগড়ের তেলকির মাঠে আলুখেত ও রাস্তার মাঝে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা খেতে চাষ করতে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল শিবিরে ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতের স্ত্রী করিসম বিবি এদিন দফায় দফায় জ্ঞান হারিয়েছেন। দলীয় নেতৃত্ব মৃত নেতার বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি, তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল থানায় গিয়ে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।