সংবাদদাতা, কল্যাণী: দেওয়াল লিখন শিল্পী থেকে মণ্ডপ এবং মাইক ব্যবসায়ীদের লকডাউনে কমেছিল রোজগার। এছাড়াও পূজা-পার্বণ, বিয়ের মরশুমও এবার জমেনি করোনা পরিস্থিতির কারণে। ফলে এই সমস্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক সকলেই অর্থকষ্টের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু ভোট ঘোষণা হতেই হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে। ভোটের প্রচুর কাজ আসা শুরু হয়েছে। কাজের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় লাভের মুখ দেখেছেন মাইক ব্যবসায়ী, প্যান্ডেল ব্যবসায়ী, ব্যানার ফ্লেক্স ফেস্টুন প্রস্তুতকারক, ক্যাটারিং সার্ভিস, গাড়ি ব্যবসায়, ক্যামেরা ব্যবসায়ী, রং তুলি বিক্রেতা থেকে দেওয়াল লিখন শিল্পীরা সকলেই। লকডাউনসহ মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে বাড়তি রোজগারে বেজায় খুশি বহু শিল্পী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। দেওয়াল লিখন শিল্পীদের একবছর যাবৎ কোনও কাজই ছিল না। ফলে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ দুশ্চিন্তায় ছিলেন। নিতাই দাস নামে একজন শিল্পী বলেন, নির্বাচন ছাড়া অন্য সময়ে বিভিন্ন কোম্পানির দেওয়াল লিখন করার অর্ডার থাকে। কিন্তু এবছর সেসব কিছু ছিল না। মাঝে পুরভোট হওয়ার কথা শুনে কিছুটা আশা দেখেছিলাম। কিন্তু সেটাও হয়নি। আমরা সমস্যার মধ্যেই ছিলাম এতদিন। এখন বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর প্রচুর কাজের চাপ রয়েছে। সব দলকে সময় দিয়ে উঠতে পারছি না। রোজগারের কিছুটা মুখ দেখতে পাচ্ছি। প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতা মাইক ও মণ্ডপ শিল্পী শ্যামল মণ্ডলের। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে মিটিং-মিছিল একপ্রকার বন্ধই ছিল এতদিন। নির্বাচন ঘোষণার কিছুদিন আগে থেকেই ভালোই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণে কাজ চলছে। এতে একইভাবে খুশি মণ্ডপশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরাও।
সরকার হোক বা রাজনৈতিক দল, যে-কোনও নির্বাচনেই প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ হয় তাদের। সেই খরচের একটা বড় অংশ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ঘরে আসে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। কাঞ্চন সরকার নামে এক গাড়ি ব্যবসায়ী বলেন, টানা গাড়ি ভাড়া সচরাচর পাওয়া যায় না। নির্বাচনের কাজের জন্য প্রশাসন টানা দু’মাসের জন্য গাড়ি ভাড়া নিয়েছে। একসঙ্গে পুরো ভাড়ার টাকা পাওয়া গেলে সেটা কাজে লাগানো যাবে। অন্যসময় যা খুচরো ভাড়া পাওয়া যায় তা খরচ হয়ে যায়। ভোট উপলক্ষে কিছুটা লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে।