সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
প্যালেস্তাইনের বাতাসে বারুদের গন্ধ। ছুটন্ত শিশার শব্দ, সাইরেন, সাঁজোয়া গাড়ি আর মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। কান্নার রোল, ধ্বংসস্তুপের আতঙ্কের মাঝে তাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে জাতীয় ফুটবল দল। খলিল, রশিদ, আতা জাবেররা যেন উপন্যাসের পাতা থেকে আসা চরিত্র। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ইতিমধ্যেই পরের রাউন্ডে পা রেখেছে প্যালেস্তাইন। ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ। এশিয়ার আটটি স্লটের মধ্যে জায়গা করে নিতে মরিয়া প্যালেস্তাইন। মঙ্গলবার শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চূর্ণ হলেও বজ্রকঠিন মানসিকতায় প্রত্যাবর্তনে মুখিয়ে ফুটবলাররা।
দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফুটবলার মহম্মদ রশিদ। পেটের দায়ে শিকাগোয় একটা সময় মালবাহী গাড়ির চালকের কাজ করতেন তিনি। এখন মাঝমাঠের ব্লকিংয়ের কাজটা সামলাচ্ছেন। রশিদের মন্তব্য, ‘বিশ্বকাপের মঞ্চে প্যালেস্তাইনের কথা তুলে ধরতে চাই। গোটা দেশ তাকিয়ে আমাদের দিকে।’ বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৯৩ নম্বরে রয়েছে দল। প্রিয় ফুটবলারদের ভালোবেসে ‘দ্য ওয়ারিয়র্স’ নামে ডাকেন অনুরাগীরা।
২০১৯ সালে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শেষবার দেশের মাটিতে খেলতে নামে ফুটবল দল। ম্যাচ দেখতে জনবিস্ফোরণ হয় স্টেডিয়ামে। তারপর? যাযাবরের মতো কখনও কুয়েত বা কাতারে যেতে বাধ্য হয়েছে তারা। প্যালেস্তাইনের বেশিরভাগ স্টেডিয়াম প্রায় ধ্বসংস্তুপ। অনুশীলন দূরের কথা, যুদ্ধের মাঝে প্রাণ বাঁচানো দায়। ভেঙে পড়েছে ক্লাব ফুটবলের কাঠামো। ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন ফুটবলাররা। কান্নাভেজা গলায় রশিদ বলেছেন, ‘পাঁচ বছর আগে দেশের মাটিতে খেলার স্মৃতি কখনও ভুলব না। তারপর ২৮টি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হয়েছে প্যালেস্তাইনকে। কঠিন পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়ছি না। অনুরাগীদের স্বপ্নপূরণ করতে আমরা তৈরি।’ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করলে নিঃসন্দেহে ইতিহাস গড়বে প্যালেস্তাইন।