সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ মে গোঘাটের শ্যাওড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়মা গ্রামের গোরু ব্যবসায়ী মুজিবর হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গোঘাটের দিঘরা গ্রামে দ্বারকেশ্বর নদের পাড় থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের তরফে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। পরকীয়া সম্পর্কের জেরে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে সে স্বামীকে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিস মৃতের স্ত্রী, তার প্রেমিক শেখ আনারুল হামজা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামে একটি আলোচনা সভা ডাকা হয়। অভিযোগ, সেই সভার পরই আনারুল সহ একাধিকজনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
আনারুলের সম্পর্কিত কাকা শেখ আবদুল্লা হামজা বড়মা বুথের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ আমরা বাড়িতে বসেছিলাম। তখনই একদল দুষ্কৃতী আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাঁশ, রড ও লাঠি দিয়ে বাড়ির অ্যাসবেসটসের চাল ভাঙতে থাকে। আমাদের প্রায় ১৪টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। কোনও বাড়ির দরজা-জানলা, আবার কোনও বাড়ির এসি ভাঙচুর করা হয়। আমার বাইকেও ভাঙচুর চালিয়েছে। দু’জনের মিনি ডিপ টিউবওয়েল ভেঙে দিয়েছে। ঘরের গোরু, ছাগলও রেহাই পায়নি। আমার এক ঠাকুমা হোসেনেরা বেগম ও পিসি পাপিয়া বেগম প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধর করা হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে আনা হয়েছে। শেখ সৈরাফ আলির নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। এলাকার দখল নিতে খুনের ছুতোকে কাজে লাগিয়ে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
শেখ সৈরাফ আলি বলেন, কে বা কারা ঘর ভেঙেছে, সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।