সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়ান লতিফ। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন টফি সর্দার। ভোটে টফিকে হারিয়ে জয়ী হন লতিফ। এরপর দু’জনের মধ্যে জমি নিয়ে ঝামেলা হয়। কিছুদিন পর লতিফ তৃণমূলে যোগ দেন। স্থানীয়দের মতে, লতিফ বিধায়ক তাপস সাহা গোষ্ঠীর আর টফি সর্দার টিনা সাহা ঘনিষ্ঠ। তবে দু’জনই লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া মৈত্রের হয়ে ভোট করেন।
এদিন সকালে গ্রামে আচমকা বোমাবাজি শুরু হয়। শব্দ শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কী হয়েছে দেখতে যান লতিফ। অভিযোগ, সেই সময় লতিফের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকজন। তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপায়। লতিফকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন আরও একজন। পুলিস খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যায়। জখমদের তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
লতিফের আত্মীয় মধুবালা মণ্ডলের অভিযোগ, সর্দার পাড়ার লোকজন এই কাজ করেছে। ওদের হাতে বন্দুক ছিল। পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় ওরা গুলি চালাতে পারেনি। তেহট্ট হাসপাতালে শুয়ে লতিফ বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই আমার উপর টফির আক্রোশ ছিল। সেই কারণে টফির দলবল আমার উপর আক্রমণ করেছে।
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে লতিফের টিকিট পাওয়ার কথা ছিল। টফি দলের টিকিট পেলেও হেরে যায়। সেই থেকেই আক্রোশ শুরু। এদিন লতিফকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল।
জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা বলেন, ভোটের প্রচারে মহুয়া মৈত্র ও তাপস সাহার মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন টফি। তাই বিধায়কের ওই কথার কোনও ভিত্তি নেই। আমি যতদূর শুনেছি, স্থানীয় একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। উভয়েই তাপস সাহার লোক। নিজেরা মারামারি করেছে। আর তার দায় আমার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।