সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও কৃষ্ণগঞ্জের নিজের বাড়িতে রোগী দেখেন মুকুটমণি অধিকারী। রোগী দেখার ফাঁকে তিনি বলেন, দ্বিধাদ্বন্দ্ব মিটিয়ে সমস্ত কর্মী, নেতারা একসঙ্গে এই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে জয় ছিনিয়ে আনব। একইসঙ্গে রানাঘাটবাসীর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রসঙ্গত ৩০ শতাংশের বেশি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে। কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৩২ জন। লোকসভা নির্বাচনে এই ব্লক থেকে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার প্রায় ১০ হাজার ভোটে লিড পেয়ে যান। আর কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২৬ হাজারের বেশি ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক থেকে এই প্রথম লোকসভার প্রার্থী হয়েছিল মুকুটমণি। তাই বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছিল প্রার্থী ও তৃণমূল কংগ্রেস। কৃষ্ণগঞ্জ ও মুকুটমণি নামের আবেগ সেক্ষেত্রে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়েছে। যার ডিভিডেন্ড তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব পাবে বলে তৃণমূল নেতারা দাবিও করেছিল। তারপরও ৬৫ শতাংশ মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মুকুটমণি অধিকারী প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ভোটে পরাজিত হন। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৩৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছেন মুকুটমণি। পেশায় চিকিৎসক মুকুটমণি অধিকারী ভোটের আগে দলবদল করে বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার জন্যই কি তাঁকে নিচুস্তরের কর্মীরা মেনে নিল না, এই প্রশ্নও উঠেছে। তারপরও রয়েছে সাবোতাজ, সাংগঠনিক ব্যর্থতার প্রশ্নও। তৃণমূল কংগ্রেসের এই হাওয়ায় মুকুটমণির এভাবে হেরে যাওয়া নিয়ে তাই চাপানউতোর রয়েছেই। এই অবস্থায় রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন মুকুটমণি অধিকারী। প্রসঙ্গত ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ী হয়ে তিনি বিধায়ক হন। মুকুটমণি বলেন, এটা ঠিক যে, মানুষের আশীর্বাদ ভোট বাক্সে প্রতিফলিত করতে পারিনি। কিন্তু পার্টির নির্দেশ রয়েছে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সকলকে নামতে হবে। কেউ পার্টির উর্দ্ধে নয়। রোগী দেখা নিয়ে তিনি বলেন, সারা বছর যতটা পারি এলাকার মানুষের বিনা পয়সায় পরিষেবা দিই। আমি মানুষের জন্য করে যাব।