সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থান করলেও এই কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড আদতে রাজ্য সরকার পরিচালিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমবায় নীতির অনুসরণে এই ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বভারতীর কর্মী, অধিকারিক, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একাংশের শেয়ার রয়েছে এই ব্যাঙ্কে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বোর্ড অব ডিরেক্টরসের নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে বিশ্বভারতীর কর্মী-আধিকারিকদের বকেয়া লভ্যাংশ আটকে রেখেছে ব্যাঙ্ক। এছাড়া বাৎসরিক ইন্সেটিভও বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাঙ্ক। চার বছর ধরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন না হওয়ায় ক্রেডিট সোসাইটির কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। এই বিষয়গুলি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে এদিন সকালে বিশ্বভারতীর কর্মী আধিকারিকরা ব্যাঙ্ক বন্ধ করে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে বিশ্বভারতীর কর্মী ভ্রমর ভাণ্ডারি ও সুব্রত মণ্ডল বলেন, মোট চার দফা দাবির মাধ্যমে আমরা সমস্যার কথা জানিয়েছি। এরপরেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যদি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ঢিলেমি করে, তাহলে দ্রুত আন্দোলনে নামব।
যদিও সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে ব্যাঙ্কের পক্ষে ম্যানেজার নিলয় দাস বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় আইন ও নীতির দ্বারা এই ব্যাঙ্ক পরিচালিত হয়। বিশ্বভারতীর যে সকল শেয়ার হোল্ডাররা রয়েছেন, তাঁদের লভ্যাংশ আটকে রয়েছে। তাই ক্ষোভপ্রকাশ করা স্বাভাবিক। কিন্তু, দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় বোর্ড অব ডিরেক্টরস গঠিত হয়নি। পুরনো বোর্ডের মেয়াদ ২০২১ সালের আগস্ট মাসে শেষ হয়েছে। যতক্ষণ না বোর্ড গঠিত হয়ে সাধারণ বৈঠক হচ্ছে, ততক্ষণ এই সমস্যা কাটানো ব্যাঙ্কের পক্ষে সম্ভব নয়। আশা করি এই নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।