সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রে দলের হারের পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতা, প্রচারপর্বে সমন্বয়ের অভাবের পাশাপাশি নিচুস্তরের কর্মীদের একাংশের উদাসীনতার বিষয়টি তৃণমূলের তদন্তে উঠে আসে। সেই কারণেই সাতটির মধ্যে ছ’টি বিধানসভাতেই বিপুল ভোটে পিছিয়ে থাকতে হয় মুকুটমণিকে। বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলে রানাঘাট দক্ষিণেও ৩৬ হাজার ৯৩৬ ভোটে তিনি পিছিয়ে রয়েছেন। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই সাংগঠনিক নেতাদের মান-অভিমান ভুলে উপনির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণের জমি পুনরুদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মুকুটমণিকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দিয়েছে দল।
মুকুটমণিবাবু বলেন, দল আমাকে ফের যে এই সুযোগ দিয়েছে, তাতে আমি আপ্লুত। এটা ঠিক যে লোকসভা ভোটে এই ফলের পিছনে সমন্বয়ের অভাব ছিল। সেই ভুলভ্রান্তি দূর করে একজোট হয়ে লড়াই করে আমাদের জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। রানাঘাটে দক্ষিণ বিধানসভার অধীনে থাকা ১৪টি পঞ্চায়েত ও একটি পুরসভা এলাকায় এদিন থেকেই ধারাবাহিক প্রচারে জোর দিয়েছে তৃণমূল। এবারের লোকসভায় এখানে মাত্র একটি পঞ্চায়েত ও কুপার্সের দু’টি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিল তৃণমূল। উপনির্বাচনে কুপার্সের ভোটাররা যে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে চলেছেন, তা বুঝে গিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই কুপার্সকেই রানাঘাট দক্ষিণে ভোট প্রচারের ভরকেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এদিন সকাল থেকেই মহিলা তৃণমূলকে সামনে রেখে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার চালান কুপার্স টাউন তৃণমূলের সভাপতি দিলীপকুমার দাস। তিনি বলেন, রানাঘাট দক্ষিণে এবার তৃণমূলের পতাকাই উড়বে। আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত। দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছেন মহিলা তৃণমূলের কর্মীরা।এদিন বিকেলে দলের প্রার্থী ও অন্যান্য জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে রানাঘাট শহরের দলীয় কার্যালয়ে কৌশল নির্ণায়ক বৈঠকে বসেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা লোকসভা নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে পারিনি। কিন্তু, এবার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূলের দখলেই আসবে। শুক্রবার তৃণমূল রানাঘাট দক্ষিণ সহ রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিজেপির তরফে এখনও এব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। রানাঘাট দক্ষিণের প্রার্থী প্রসঙ্গে লোকসভার নবনির্বাচিত সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, মুকুটমণিবাবুকে প্রার্থী করে আমাদের সুবিধে করে দিয়েছে তৃণমূল। ফের একবার বিজেপির কাছে ও পরাজিত হবে। একজন ব্যর্থ প্রার্থীকে তৃণমূলের মতো দল দ্বিতীয়বার সুযোগ দিয়েছে, এর থেকে আর লোক হাসানো ব্যাপার কিছুই হতে পারে না।