সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুহ্মমনিয়ান টি বলেন, অতিবৃষ্টির জেরে মিল্লি ব্রিজ, রবিঝোরা ও লিকুউভিরে জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি দিয়ে যানবাহন চলাচল করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে মেরামতি কাজ শুরু হচ্ছে।
কয়েকদিন ধরেই সিকিম পাহাড়ে বৃষ্টি চলছে। টানা ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়েছে। যার জেরে কালিম্পংয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলির মধ্যে মিল্লি ব্রিজ এলাকা অন্যতম। এখানে রাস্তায় ফাটল ধরেছে। এরবাইরে রবিঝোরা, লিকিউভির, ২৯ মাইল প্রভৃতি জায়গাতেও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও রাস্তায় উঠেছে তিস্তার জল। এলাকাগুলি কার্যত বিপজ্জনক। এজন্য এলাকাগুলি দিয়ে যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। তারা এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের মিল্লি থেকে চিত্রে পর্যন্ত বাস সহ কোনও ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। মিল্লি থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত পণ্যবোঝাই যানবাহন চলাচল করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর রবিঝোরা, তিস্তাবাজার, পেশক থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করা হয়েছে। এই রাস্তা দিয়েও যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
যাত্রীদের নিরাপত্তায় বিকল্প সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, রংপো থেকে ছোট গাড়ি মংপু, ১৭ মাইল, আলগাড়া, লাভা, গোরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবে। বাস ও পণ্যবোঝাই গাড়ি সহ সব ধরনের যানবাহন ঋষি, পেডং, আলগাড়া, লাভা, গোরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। কালিম্পং থেকে দার্জিলিংগামী যানবাহন ২৭ মাইল, তিস্তাভ্যালি, হয়ে যাতায়াত করবে।
কালিম্পং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, জাতীয় সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত শুরু হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত এই কাজ শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দিয়ে যান চলাচল নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তবে বর্ষার পর ওই জায়গাগুলিতে রাস্তা পাকাপাকিভাবে তৈরি করবে পূর্তদপ্তর।
প্রসঙ্গত, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক কালিম্পং ও সিকিমের লাইফ লাইন। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই সড়কের একাধিক জায়গায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। স্থানীয়দের বক্তব্য, তিস্তায় জলস্তর বাড়ায় কালিম্পং ও সিকিমের লাইফ লাইন বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। এজন্যই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অনেকটা ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটায় পর্যটন ব্যবসায় প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা।