সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এদিকে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, সাংসদকাণ্ডে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা পুলিসকে জানিয়েছে, তারাই নিউটাউনের আবাসনে খুন করেছে আওয়ামি লিগের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদকে। তারপর সীমান্ত অতিক্রম করে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরে এসেছে। বাংলাদেশ পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে সোনা, মাদক পাচার এবং হুন্ডি-হাওলা কারবারের অভিযোগ রয়েছে। তবে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত সিআইডি ও নিউটাউন পুলিস সূত্রে খবর, সাংসদের দেহের খোঁজ মেলেনি। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সাংবাদিকদের সেকথা জানিয়েছেন। তবে তিনি এও বলেন, ‘এদেশে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা খুনের কথা স্বীকার করেছে।’ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিসের কাছে বাবাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন। কলকাতায় এসে নিউটাউন থানাতেও তিনি অভিযোগ জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশে ‘আনার ভাই’ নামে পরিচিত এই ‘বাহুবলী’ সাংসদ। ১৩ মে যে তিনি নিউটাউনের ওই আবাসনের ফ্ল্যাটে (৫৬-বি/ইউ) গিয়েছিলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সেই প্রমাণই দিচ্ছে। তবে আবাসন থেকে তাঁর বের হওয়ার কোনও ফুটেজ মেলেনি। তদন্তকারীরা বলছেন, নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে ১৩ তারিখ বাংলাদেশের এমপির সঙ্গে এক মহিলা সহ আরও তিনজন ছিল। এমপিকে ছাড়া আবাসন থেকে একটি বড় ট্রলি ব্যাগ হাতে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার ফুটেজও মিলেছে। ওই তিনজনই বাংলাদেশে ধরা পড়েছে বলে খবর। তাহলে এমপি’র দেহ গেল কোথায়? উত্তর হাতড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা। গোপালবাবুর কথায়, ‘সাংসদ বলেছিলেন, ডাক্তার দেখিয়ে ভিআইপিদের সঙ্গে জরুরি কাজে দিল্লি যেতে হচ্ছে। সেখানে পৌঁছে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজও করেছিলেন। ফোনে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়েছিল।’ পাঁচদিন পরও খোঁজখবর না মেলায়, মিসিং ডায়েরি করা হয়।
এমপি নিখোঁজের খবরে তৎপর হয় ঢাকা। দু’দেশের শীর্ষস্তরে আলোচনার তদন্তে নামে বিভিন্ন এজেন্সি। এমপির মোবাইল ফোনের অবস্থান যাচাই করতে তদন্তকারীরা দেখেন, ১৩ মে নিউটাউনের অ্যাক্সিস মলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অ্যাকোয়াটিকার পাশে ‘সঞ্জীবা গার্ডেন’ নামে একটি আবাসনে যান আনোয়ারুল। অ্যাক্সিস মলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বলছে, যাওয়ার আগে গাড়ি বদল করেন সাংসদ। সেই গাড়িতে আরও তিনজন ওঠেন। দু’জন পুরুষ ও একজন মহিলা। তাঁরা একসঙ্গেই আবাসনে এসেছিলেন। সিআইডি সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাটের মালিক সন্দীপ রায় রাজ্য সরকারের আবগারি দপ্তরের অফিসার। সেই ফ্ল্যাটটি তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন আফতাব উল জামান নামে এক আমেরিকা প্রবাসীকে। দালাল মারফত সেই ফ্ল্যাট পুনরায় ভাড়া নিয়েছিলেন বাংলাদেশি সাংসদ। এদিন সকালেই এক গোপন সূত্রে সিআইডিও জেনেছে, ‘খুন’ই হয়েছেন বাংলাদেশি এমপি।