সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এদিন কথা প্রসঙ্গে ইয়েদুরাপ্পার জেলযাত্রারই ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইয়েদুরাপ্পাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাঁকে গ্রেপ্তার করাও হতে পারে। তিনি জানান, ‘নোটিস পাঠানো হয়েছে। ১৫ জুনের মধ্যে চার্জশিট জমা পড়বে। তবে, সব কিছুই হবে যথাযথ বিধি মেনেই। বয়ান রেকর্ড করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে (ইয়েদুরাপ্পা) আদালতে পেশ করতে হবে। সব প্রক্রিয়া হবে আইনের গণ্ডির মধ্যে থেকেই।’ এরপরই পরমেশ্বর যোগ করেন, ‘প্রয়োজন পড়লে সিআইডি ওঁকে গ্রেপ্তার করবে। সিআইডিই এ বিষয়ে শেষ কথা বলবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরু পুলিস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে। ৫৪ বছরের এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের হয়। তাঁর ১৭ বছরের কিশোরী কন্যাকে ডলার্স কলোনির বাড়িতে ইয়েদুরাপ্পা যৌন হেনস্তা করেন বলে ওই মহিলার অভিযোগ। গত ১৪ মার্চ সদাশিবনগর থানায় সংশ্লিষ্ট অভিযোগটি দায়ের হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কর্ণাটকের ডিজিপি অলোক মোহন তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেন। ইয়েদুরাপ্পা যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে ইয়েদুরাপ্পা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে মামলাকারী মহিলা গত মাসে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। সরকারি সূত্রে খবর, সিআইডির তরফে মামলাটি লড়ার ভার দেওয়া হয়েছে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অশোক এইচ নায়ককে।